কে কী শুনেছি-দেখেছি-বুঝেছি?

ঢাকা পোষ্ট মোস্তফা কামাল প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৮

ক্লিয়ার অ্যান্ড লাউডে যা বলার সবই বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। কম কথার মানুষ পরিমাণে বেশিই বলেছেন। তাও আকার-ইঙ্গিত বা ইশারায় নয়, একদম প্রকাশ্যে। প্রথম জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে ‘রাওয়া’ আ‌য়ো‌জিত স্মরণ সভার আগেরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি সাভারেও কয়েক লাইনে কিছু কথা বলেছেন।


দেশে নির্বাচিত সরকার ও শৃঙ্খলা ফিরে আসার আগপর্যন্ত সেনাবাহিনীকে ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে মন্তব্য করে বলেছেন, পেশাদারিত্বের মাধ্যমে এ কাজ করতে হবে। সাভার সেনানিবাসে ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৫’–এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন জেনারেল ওয়াকার।


বক্তব্যের এক পর্যায়ে এও বলেছেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম তাড়াতাড়ি সেনানিবাসে ফেরত আসতে পারব। কিন্তু কাজটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। দেশ ও জাতির জন্য এই সার্ভিসটা (সেবা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যত দিন না আমরা একটা নির্বাচিত সরকার না পেয়ে যাই, দেশ একটা শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে আসে, তত দিন পর্যন্ত এই কাজটা ধৈর্যের সঙ্গে করে যেতে হবে।


কোনো উচ্ছৃঙ্খল কাজ করা যাবে না। বল প্রয়োগ করা যাবে না। মাঝে মাঝে এ কাজগুলো করতে গিয়ে কিছুটা বল প্রয়োগ হয়ে যায়। বল প্রয়োগ করতে গেলেও একেবারে প্রপোরসনেট (যতটুকু না করলেই নয়) যেন হয়। যত কম বল প্রয়োগের মাধ্যমে কাজগুলো করা যায়, ততই ভালো।


ঘটনা, সময় এবং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় গুরুত্ব পেয়েছে তার রাওয়া ক্লাবে দেওয়া বক্তব্য। সেখানে তিনি সবাইকে সতর্ক-সাবধান-হুঁশিয়ারি যে ভাষাতেই হোক সময়োচিত দশ কথার কয়েকটি বলতে ছাড়েননি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কথা বলেছেন। নির্বাচনের কথাও বলেছেন। নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই তাও জানিয়েছেন। তার এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে চায়ের দোকানেও আলোচনার ঝড় বাইছে।



সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের হত্যাকাণ্ডে নিহত সামরিক কর্মকর্তাদের স্মরণে রাওয়ায় ওই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। সেখানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের মুখের ভাষার সঙ্গে শরীরের ভাষার বেশ স্পষ্টতা। গত কয়েকদিন স্যোশাল মিডিয়ায় তা ঘুরছে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে। বক্তব্যে কয়েকবার 'সতর্ক' শব্দের ব্যবহার করেছেন তিনি। দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আশাবাদের কথা আছে। খোলাসা করে বলেছেন, 'আমরা দেশে একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশনের দিকে ধাবিত হচ্ছি। তার আগে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, অবশ্যই সরকার এদিকে হেল্প করবে।'


এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর দিকে তিনি ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। সে প্রসঙ্গও টেনেছেন সর্বশেষ বক্তব্যে। জেনারেল ওয়াকারের খোলাসা বক্তব্যের পর এখন আর আকার-ইঙ্গিতের তেমন কিছু অবশিষ্ট নেই। পরিস্থিতি অনেকটা পরিষ্কার। তারপরও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে বেশ ফের। যে যার সুবিধা মতো শুনেছেন। বুঝেছেনও নিজেদের মর্জি মতো।


রাজনীতিকদের মতো ইনিয়ে বিনিয়ে নয়, সোজাসুজি বলেছেন, আপনারা এগুলো (শহীদ সেনাদের বীভৎস ছবিগুলো) ছবিতে দেখেছেন, কিন্তু এগুলো আমার চাক্ষুষ দেখা। আমি চাক্ষুষ সাক্ষী এই সমস্ত বর্বরতার। একটা জিনিস আমাদের পরিষ্কার মনে রাখতে হবে, এই সমস্ত বর্বরতা কোনো সেনা সদস্য দ্বারা ঘটেনি, এসব বিজিবি সদস্যদের দ্বারা ঘটেছে। ফুল স্টপ। এখানে কোনো ইফ বা বাট নাই; এখানে যদি ইফ বা বাট আনেন, তাহলে সঠিক বিচারের প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। অপরাধীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে না।


বক্তব্যের আরেক জায়গায় বলেছেন, আমার উপদেশ গ্রহণ করলে আপনারা লাভবান হবেন, এটা আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি। আমরা নিজেরা ভেদাভেদ সৃষ্টি না করি। আমরা নিজেরা ইউনাইটেড থাকি। আমাদের নিজেদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, সেটা আমরা আলোচনার মাধ্যম সমাধান করব। এটার জন্য ডানে-বামে দৌড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। তা না হলে নিজের ক্ষতিই হবে।


… ২০০৯ সাল থেকে যারা শাস্তি পেয়েছেন, কেউ কেউ বলছেন তারা অযাচিতভাবে শাস্তি পেয়েছেন। এটার জন্য আমি একটা বোর্ড করে দিয়েছি। সেই বোর্ড প্রথম ফেইজে ৫১ জনের ব্যাপারে রিকমেন্ডেশন নিয়ে এসেছে। আমি তা গ্রহণ করেছি। নেভি এয়ারফোর্সও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। … আমার স্ট্যান্ড পয়েন্ট হচ্ছে—যদি কেউ অপরাধ করে থাকে, সেটার জন্য শাস্তি পেতেই হবে। কোনো ছাড় হবে না। বিন্দুমাত্র ছাড় নাই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও