কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপি কেন ইসির পরীক্ষা নেবে?

সমকাল এহসান মাহমুদ প্রকাশিত: ০১ মে ২০২৩, ০২:০১

বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। বর্তমানে আউয়াল কমিশনের এই সদস্য এর আগের নূরুল হুদা কমিশনের সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেছেন- ‘এখন পর্যন্ত আমরা ভালো কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও ভালো কাজ করব। আমাদের সব সময় আহ্বান থাকবে যে, আপনারা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন; আমাদের পরীক্ষা নিন। আপনারা তো আমাদের পরীক্ষাই নিচ্ছেন না। পরীক্ষা না নিয়েই আমরা যে অকৃতকার্য হলাম, আপনারা কীভাবে বুঝলেন? আমরা সব সময় পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত।’ (সমকাল, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩)। 


কমিশনার আলমগীরের বক্তব্যের সুর যেন মেলানো যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের একটি মন্তব্যের সঙ্গে। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে তাঁর সঙ্গে এক বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছেন। সে সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার আন্তরিক। বিএনপি ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনমুখী। বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা জরুরি।


নির্বাচন কমিশনার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় একটি বিষয় পরিষ্কার– সরকার এবং কমিশন উভয়েই চাইছে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসুক। কেন তারা এটা চাইছেন?


আমরা জানি, কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর আস্থা অর্জনে এমন কী করেছে? দায়িত্ব নেওয়ার ১৫ দিনের মাথায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছিল ইসি। সেই সংলাপ বেশ আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত হতাশ করেছে সবাইকে; কার্যত কোনো ফল বয়ে আনেনি।


ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিসহ ৯টি দল ওই সংলাপ বর্জন করেছিল। সংলাপে ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যে বক্তব্য দিয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তা পাল্টে দিয়েছিল ইসি। এ ঘটনায় ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া বিশিষ্টজন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।


এখন এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনকে পরীক্ষার আর মাত্র একটি পথই আছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি ভোট। অবশ্য বিএনপিসহ অধিকাংশ দল এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এটা আস্থাহীনতা কিনা– এমন প্রশ্নের জবাব কমিশনের কাছে প্রত্যাশা করা যায় বৈকি। 


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও