মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরোধের আর্থসামাজিক চিত্র
প্রায় এক মাস অসহযোগ আন্দোলন চললেও সশস্ত্র আক্রমণ হলে কীভাবে তা প্রতিহত করতে হবে সে সম্পর্কে দেশবাসীর কোনো ধারণা ছিল না। যুদ্ধের ব্যাপকতা সম্পর্কে কোনো পক্ষেরই ধারণা ছিল না। অর্থাৎ পাকিস্তানিরাও প্রতিরোধের ব্যাপকতা অনুমান করতে পারেনি। ২৫ মার্চের পর যখন চারদিকে প্রতিরোধ গড়ে উঠল তখন বাংলাদেশী যোদ্ধাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
পাঁচটি বেঙ্গল রেজিমেন্টের (প্রথম বেঙ্গল—যশোর, দ্বিতীয় বেঙ্গল—জয়দেবপুর, তৃতীয় বেঙ্গল—সৈয়দপুর, চতুর্থ বেঙ্গল—কুমিল্লা এবং অষ্টম বেঙ্গল—চট্টগ্রাম) বাঙালি সৈন্য, সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোর বাঙালি ইপিআর সৈনিক এবং পুলিশ, আনসার ছিল সশস্ত্র প্রতিরোধের মূল যোদ্ধা। এ কারণে যুদ্ধ শুরু হলে প্রথমেই চিন্তা করা হয় সহযোগী গ্রুপ তৈরির। বাংলাদেশী সৈনিক-অফিসার যেখানে যেভাবে সুযোগ পেয়েছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এক থেকে সাতদিনের স্বল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এদের মূল বাহিনীর সহায়ক শক্তিরূপে প্রস্তুত করা হয়। এদের মধ্যে ছিল আনসার, মুজাহিদ, ছাত্র, যুবকসহ উৎসাহী জনতা। এর মাধ্যমে প্রতিরোধটা কেবল সেনাবাহিনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জনপ্রতিরোধে রূপ নেয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মুক্তিযুদ্ধ
- আন্দোলন
- আন্দোলনের ঝড়