কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বর্ষার আগেই এ মরণফাঁদ বন্ধ করুন

প্রথম আলো চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৭

নগরের নালা-খালগুলো বছরের পর বছর ধরে নাগরিকের মৃত্যুফাঁদ হয়ে রয়েছে অথচ কর্তৃপক্ষের তাতে হেলদোল নেই। এসব নালা-খালে পড়ে ২০২১ সালের শেষ ছয় মাসে শিশুসহ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে; নিখোঁজ হয়েছেন একজন। একের পর এক ভয়াবহ এ ঘটনায় নাগরিকেরা তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত, অথচ দায় নেওয়ার মতো কেউ নেই। বরং নগর কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই দায় সারছে।


চূড়ান্ত পর্যায়ের দায়হীনতার এ ঘটনা চট্টগ্রাম নগরের। সিটি করপোরেশন সূত্রে প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, চট্টগ্রাম নগরে পথচারীদের নিরাপদে চলাচল করার জন্য গত তিন বছরে প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুট স্ল্যাব মেরামত ও নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে।


আর ঝুঁকিপূর্ণ খালের পাড়ে ১৭ থেকে ১৮ হাজার বর্গফুট রক্ষাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এখনো ৪১টি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমায় অন্তত তিন হাজার মরণফাঁদ রয়েছে। আর পথচারীদের চলাচল নিরাপদ করতে খালের পাড়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী দরকার প্রায় ২০ হাজার মিটার।    


প্রথম আলোর প্রতিবেদনের সঙ্গে নগরীর চশমা খালের পাশের সড়কের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন না হওয়ার কিছু নেই। সরু সড়কে নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকায় যে কেউও খালে পড়ে যেতে পারে। আর ভারী বৃষ্টি হলে খাল আর সড়ক একাকার হয়ে যায়। পথচারী আর যানবাহন কেন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ে না, সেটাই একটা অলৌকিক বিষয়। শুধু চশমা খাল নয়, উন্মুক্ত নালা-খালের এ রকম মরণফাঁদ চট্টগ্রাম নগরজুড়েই।


উন্মুক্ত নালা-খালে পড়ে হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কেউ এসবের দায় নেয় না। উল্টো পরস্পরকে দায়ী করে সংস্থা দুটি। সরকারের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমন মৃত্যুর জন্য দুটি সংস্থার গাফিলতিকে দায়ী করা হয়েছে।


আমরা মনে করি, দায় না নেওয়ার এ বাজে সংস্কৃতির কারণেই চট্টগ্রাম নগরে নাগরিকের জীবন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। নাগরিকদের অভিযোগ, তদারকি সংস্থাগুলো মানুষের জীবনকে গুরুত্বহীন ভাবে। এ কারণে নজরদারি ও তদারকি দেখা যায় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও