কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আদানির জালিয়াতি ও বাংলাদেশের বিপাক

সমকাল কল্লোল মোস্তফা প্রকাশিত: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:০৫

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হিনডেনবার্গ রিসার্চ ভারতের আদানি গ্রুপের জালিয়াতি, অর্থ পাচার ও শেয়ার কারসাজির তথ্যপ্রমাণসহ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর পর থেকে করপোরেট কোম্পানিটির শেয়ারের যে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে, তা এখনও চলমান। এই আদানি গ্রুপের সঙ্গেই বাংলাদেশ ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছিল। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৫ বছর ঝাড়খণ্ডের গোড্ডাস্থ ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার কথা আমাদের। হিনডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে শেয়ারবাজারে কারসাজি ছাড়াও বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি ও কয়লা আমদানি নিয়ে যে ধরনের জালিয়াতি উঠে এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বার্থও ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে।


তোলপাড় করা প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, আদানি পাওয়ার ২০১১ থেকে '১৩ সালে মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের দুটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে বয়লার, জেনারেটর ও টারবাইন আমদানি করে। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের প্রকৃত যন্ত্রপাতি নির্মাণকারী (ওইএম) কোম্পানি থেকে সরাসরি ভারতে এলেও মূল্য পরিশোধ করা হয় দুবাইভিত্তিক তৃতীয় একটি কোম্পানির মাধ্যমে। ইলেকট্রোজেন ইনফ্রা এফজেডই (ইএফই) নামের কোম্পানিটি আসল ইনভয়েসের ওপর জালিয়াতি করে দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে সেই ইনভয়েস আদানি পাওয়ারের কাছে পাঠায়। আদানি পাওয়ার সেই অনুযায়ী বাড়তি দাম পরিশোধ করে।


এর পর দুবাইভিত্তিক ইএফই যন্ত্রপাতির প্রকৃত মূল্য চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার যন্ত্রপাতি নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে পরিশোধ করে বাড়তি অর্থ পাঠিয়ে দেয় ইএফইর প্যারেন্ট কোম্পানি মরিশাসভিত্তিক ইলেকট্রোজেন ইনফ্রা হোল্ডিংস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছে। মরিশাসভিত্তিক এ কোম্পানির প্রকৃত মালিক হলেন আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানির বড় ভাই বিনোদ আদানি। এভাবে আদানি গ্রুপ ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যায়ে স্রেফ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির দাম বাড়িয়ে দেখানোর মাধ্যমে ৮০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করে।


শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতিই নয়; সেখানে ব্যবহূত জ্বালানি কয়লার আমদানি মূল্যও বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ রয়েছে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে। ভারতের ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) অভিযোগ- কয়লা ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজে সরাসরি ভারতে আনা হলেও এর দাম পরিশোধ করা হয় হংকং, সিঙ্গাপুর, দুবাইভিত্তিক তৃতীয় কোনো কোম্পানির মাধ্যমে। এগুলো আসলে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে আদানিরই তৈরি বিভিন্ন বেনামি কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলো কয়লা আমদানির আসল ইনভয়েসের ওপর জালিয়াতি করে দাম বাড়িয়ে সেই বাড়তি দামের ইনভয়েস আদানি গ্রুপের কাছে পাঠায়। আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী বাড়তি দাম পরিশোধ করে। এর পর হংকং বা সিঙ্গাপুর বা দুবাইভিত্তিক বেনামি কোম্পানিগুলো কয়লার প্রকৃত দাম ইন্দোনেশিয়ার কয়লা রপ্তানিকারী কোম্পানিকে পরিশোধ করে। আর বাড়তি অর্থ পাঠিয়ে দেয় এসব বেনামি কোম্পানির প্যারেন্ট কোম্পানি মরিশাসভিত্তিক বিভিন্ন 'অলস' কোম্পানির কাছে; এগুলোরও প্রকৃত মালিক গৌতম আদানির বড় ভাই বিনোদ আদানি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও