কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের জন্যই বড় সুযোগ

প্রথম আলো মোজাম্মেল বাবু প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৫

জ্বালাও-পোড়াও পরিহার করে বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারায় ফেরত এসেছে, এটা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত স্বস্তির বিষয়। জামায়াতকে তাদের সঙ্গে অন্তত জোটবদ্ধভাবে দেখা যাচ্ছে না, এটাও আশার খবর। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি’ নামে নির্বাচন কমিশনে যে একটি নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলছে, সেটা যে কার খেলা, তা এখনই বলা মুশকিল! জামায়াতের ভোটব্যাংক, অর্থ এবং আন্তর্জাতিক লবিং বিএনপির অনেক বড় পুঁজি। তাদের নিয়োগ করা ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান এখনো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ পৃথিবীর দেশে দেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উত্থাপন করে আসছেন, নানা রকমের শুনানি আয়োজন করছেন। কখনো কখনো বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতেরা খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে এসব প্রচারণার প্রতিবাদ করছেন, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো ঘটছে একতরফাভাবে।


জোট কিংবা আসন-সমঝোতায় ২০০১ এবং ২০০৮ সালে যে ৪.৫ শতাংশ ভোট ‘দাঁড়িপাল্লায়’ পড়েছিল, সেটা জামায়াতের প্রকৃত ভোট নয়। ১৯৯৬ সালে আলাদাভাবে নির্বাচন করে যে ৮.৬ শতাংশ ভোট তারা পেয়েছিল, সেটাই তাদের আসল ভোটব্যাংক, যা বিএনপি জোটের মোট ভোটের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। তাই বিএনপির পক্ষে জামায়াতকে ছেড়ে আসা সহজ নয়। তা ছাড়া মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাদের ‘মডারেট ইসলামি পার্টি’ জামায়াতে ইসলামীর ওপর এখনো তাদের আশা ছাড়েনি। নতুন দলটি কি তবে মার্কিনদের ‘অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ জামায়াত’ পরিকল্পনার অংশ? সরাসরি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও, তারাতো একই চেতনাকে ধারণ করেই বেড়ে উঠেছে। তাদের রগ কাটার রাজনীতি তো আমরা দেখেছি। নিবন্ধন পেলে তারা কি বিএনপির খোলস ছেড়ে পৃথকভাবে নির্বাচন করবে, নাকি গ্লানি কাটিয়ে আবার চারদলীয় জোটে যোগ দেবে?


এদিকে আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদের শেষপ্রান্তে এসে স্বাভাবিকভাবেই ‘অ্যান্টিইনকাম্বেসি’ বা পুঞ্জীভূত অসন্তোষ এখন সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। সে সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। এ নিয়ে বৈশ্বিক বাস্তবতার যুক্তিতে কোন চিড়া ভিজছে না! ডলার সংকটেও সরকার বড় ধরনের চাপে রয়েছে। নতুন গভর্নর আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ইতিবাচক ধারা ধরে রাখলেও, অর্থনীতির স্বাভাবিক প্রবাহ ক্রমেই থমকে যাচ্ছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৮৯ বিলিয়ন ডলারের আমদানির দায় আমাদের আরও এক বছর টানতে হবে, যার অন্তত ২০ শতাংশ ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে পাচার হয়ে গেছে বলেই অর্থ-গোয়েন্দাদের ধারণা।


সরকার তিন মেয়াদে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে শতভাগ বিদ্যুতায়নে বিস্ময়কর সাফল্য দেখালেও, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি নিরাপত্তায় তারা চরম বিপদে পড়ে গেছে। ট্রান্সমিশন লাইন ও গ্যাসের অভাবে অনেক বড় বড় প্ল্যান্টকে বসিয়ে রেখেই ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। রক্তক্ষয়ী তেলভিত্তিক মেয়াদোত্তীর্ণ রেন্টাল-কুইকরেন্টাল চালিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাতে একদিকে জমছে ‘আইপিপি’দের কাছে দেনা, অন্যদিকে বাড়ছে জ্বালানি আমদানির খরচও। তবে আগামী এক বছরে প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ধাপে ধাপে উৎপাদনে এলে, পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে। ব্যাংকিং সেক্টরে বেশ কিছু মেগা দুর্নীতির ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো গুজবে পুরো ব্যাংকিং সেক্টরই ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রীতিমতো টাকা ছাপিয়ে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে, যা সামনের দিনগুলোতে বড় ধরনের মুদ্রাস্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও