আ'লীগের কাউন্সিল :গঠনতান্ত্রিক বনাম গণতান্ত্রিক

সমকাল ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:৪৫

দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার অভাব রয়েছে- এমন একটি অভিযোগ সাধারণের মাঝে আলোচনা হয়। এই আলোচনা সামনে রেখেই বলতে পারি, এবারের আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি সম্মেলন হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে; এতে দলটি গঠনতান্ত্রিক ধারায় আছে বলা যায়। আওয়ামী লীগের এই কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। একইভাবে দলটির দ্বিতীয় প্রধান নেতা তথা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কদের। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দশমবারের মতো সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদের তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হলেন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে।


আওয়ামী লীগে চর্চিত অতীতের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করা হয়। তার ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ এ দুই পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করেন কাউন্সিলররা। পরে দলের অন্য পদগুলোয় নেতৃত্ব নির্বাচনের সর্বময় ক্ষমতা দলীয়প্রধানের হাতে অর্পণ করা হয়ে থাকে। তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিও হবে।


১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ দেশের অন্যতম প্রধান ও প্রাচীন রাজনৈতিক দল। এই দলের নেতৃত্ব যখন একটি গঠনতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত হয়ে আসে, তখন তা গণতন্ত্রের জন্য আশাবাদী হওয়ার মতো ঘটনা বটে। কিন্তু তাতে করে এই প্রশ্ন উপেক্ষিত হতে পারে না যে- কাউন্সিলটি গঠনতান্ত্রিক হলেও গণতান্ত্রিক হলো কিনা?


আমরা দেখতে পাব, শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, তা আজকে প্রায় ৪১ বছর ধরে সেখানেই আছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরে এখন ওবায়দুল কাদের রয়ে গেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, এখানে শেখ হাসিনার নির্দেশেই সবকিছু হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পদেও যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও যে শেখ হাসিনার একক মনোনয়নেই এসেছেন, সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। তবে আমি আশাবাদী হতে চাই, এই যে গঠনতান্ত্রিক নেতৃত্ব নির্বাচন তা ধীরে ধীরে আরও গণতান্ত্রিক হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও