দুই দলই রাজনীতিশূন্য হয়ে পেশিশক্তি দেখাচ্ছে

সমকাল আবুল কাসেম ফজলুল হক প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৩

শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, সমাজ বিশ্নেষক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আহমদ শরীফ চেয়ার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে চার দশক ধরে শিক্ষকতা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে তিনি স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৬৬ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে মুক্তিসংগ্রাম, কালের যাত্রার ধ্বনি, নৈতিক চেতনা :ধর্ম ও মতাদর্শ, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্দোলন, উনিশ শতকের মধ্যশ্রেণি ও বাংলা সাহিত্য উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। আবুল কাসেম ফজলুল হক ১৯৪৪ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।


সমকাল: বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার একটা মূল্যায়ন দিয়ে শুরু করতে চাই।


আবুল কাসেম ফজলুল হক: রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কী বলব? এটা বলতে পারি, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না; অনেক দিন ধরেই তা ভালো না।


সমকাল: আরেকটু ব্যাখ্য করে বলবেন?


ফজলুল হক: ১৯৭১ সালে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তার আগে ৬ দফা আন্দোলন, তারও আগে ১৯৫৪ সালের নির্বাচন; তারও আগে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন- এই সবকিছুর মধ্যে আমাদের জাতির একটা শক্তি এবং রাজনৈতিক বুদ্ধির প্রকাশ ঘটেছিল। তখনও অনেক খারাপ কিছু ছিল; তবে সেই খারাপকে অতিক্রম করে ভালোর দিকে যাওয়ার একটা শক্তি ও চিন্তা আমাদের জাতির মধ্যে ছিল। এখানে জাতি বলতে আমরা বলব, ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তির পর যে পাকিস্তান হলো, তার মধ্যে পূর্ববাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান হলো; এ শক্তিটা ভালো-মন্দ মিলিয়ে ভালোই ছিল। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি; বিষয়টার সাংবিধানিক স্বীকৃতি, '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধ- এ সবের কিছুই হতো না, যদি তখনকার জাতীয় চরিত্র এখনকার মতো থাকত। আমাদের বর্তমান খারাপ হলেও ভবিষ্যৎ ভালো হবে- এ রকম একটা বিশ্বাস জনগণের মধ্যে ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রের মধ্যে তাঁর ক্ষমতা সুসংহত করতে পারেননি। তখন চরম একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও; এমনকি যাঁরা অনেক আগে থেকেই দলটি করে আসছিলেন, তাঁরাও মত্ত হয়ে গেলেন ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে; দুর্নীতি-সন্ত্রাস-লুটপাটে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও