কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ডেঙ্গু প্রতিরোধে অবহেলা বনাম কলকাতা-সিঙ্গাপুরের দৃষ্টান্ত

সমকাল কল্লোল মোস্তফা প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১১:৫০

সম্প্রতি ডেঙ্গুতে এক বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড হলো। এর আগে সরকারি হিসাবে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালে; ১৭৯ জন। এ বছর মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৮২ ছাড়িয়েছে। নভেম্বর মাসের প্রথম আট দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের বেশি। এ বছরের এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ঢাকা শহরের প্রাক-বর্ষা মৌসুমের মশা জরিপের তথ্য প্রকাশ করার পর দেখা যায়, ২০২০ ও '২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মশা বেশি পাওয়া গেলেও যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


এডিস মশা শুধু মানুষের ঘরের ফুলের টব বা ছাদে জমে থাকা পরিস্কার পানিতেই জন্মে না। বিভিন্ন জনপরিসর এবং সরকারি-বেসরকারি নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় পড়ে থাকা বোতল, প্যাকেট, ডাবের খোসা, কনটেইনার, ড্রাম, ব্যারেল, পরিত্যক্ত টায়ার, ইটের গর্ত ইত্যাদিতে জমে থাকা পানিতে জন্মাতে পারে। ২০১৯ সালে বর্ষা মৌসুমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করা জরিপে দেখা গেছে, এডিস মশা সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে পরিত্যক্ত টায়ারে (২২ দশমিক ৯০ শতাংশ), বেজমেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানিতে (১১ দশমিক ২৯ শতাংশ), প্লাস্টিকের ড্রামে (৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ)। ফুলের টব ও ট্রেতে পাওয়া গেছে মাত্র ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ উৎস।


এ ছাড়া যেসব স্থানে এডিস মশা পাওয়া যায় সেগুলো হলো- পানির ট্যাঙ্কে (৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ), প্লাস্টিকের বালতিতে (৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ), মাটির পাত্রে (৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ), রঙের কৌটায় (৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ), টিনের ক্যানে (৩ দশমিক ২৩ শতাংশ), প্লাস্টিকের মগ-বদনায় (২ দশমিক ৯০ শতাংশ) ইত্যাদি। এ কারণেই ২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ কীটতত্ত্ববিদ বিএন নাগপাল ঢাকায় এসে বলেছিলেন, নির্মাণাধীন প্রকল্প এডিস মশার অন্যতম উৎস। এখানকার মশা উৎপাদনের ক্ষেত্র বিনাশ করা সম্ভব হলে ডেঙ্গুর প্রকোপ ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। পরিত্যক্ত টায়ার কিংবা নির্মাণ প্রকল্পে যেন এডিস মশা জন্মাতে না পারে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনসহ সরকারের সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের।


ব্যক্তিমালিকানাধীন হাউজিং প্রপার্টির ভেতরে জমে থাকা পানি পরিস্কারের জন্য সংশ্নিষ্ট কোম্পানি ও ব্যক্তিদের উদ্বুদ্ধ এবং বাধ্য করার দায়িত্বও জনগণের করের টাকায় চলা সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের। এর দৃষ্টান্ত হিসেবে আমরা দেখতে পারি, কলকাতা সিটি করপোরেশন এডিস মশা দমনে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়। তাদের ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই সিটি করপোরেশনের ২০-২৫ জন কর্মী থাকে। এর মধ্যে এক দল প্রচার কাজ চালায়, অন্য দল কোথাও পানি জমছে কিনা, তার ওপর নজর রাখে। ১৬টি বোরোর প্রতিটির জন্য থাকে একটি র‌্যাপিড অ্যাকশন টিম। তাতে সব ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুত থাকে ৮-১০ জন। গাড়িও থাকে তাদের কাছে। কোনো জায়গায় ডেঙ্গুর খবর পাওয়া গেলে অতি দ্রুত সেখানে পৌঁছে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও