You have reached your daily news limit

Please log in to continue


উন্নত বিশ্বের জন্য লিটমাস পরীক্ষা

প্যারিস চুক্তির অভীষ্ট লক্ষ্য তাপমাত্রাকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত করা এবং কোনোক্রমেই ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বাইরে যেতে না দেওয়া। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে বলেছেন, বিশ্বের তাপমাত্রা এ শতাব্দীর মধ্যে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে না। স্বপ্রণোদিত কার্বন নিঃসরণ কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা পেশ করা হয়েছে, তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলেও বিশ্বের তাপমাত্রা এ শতাব্দীর মধ্যে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেড়ে যেতে পারে। নিজ উদ্যোগে হওয়ায় তথা আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকায় বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জবাবদিহি কতটা থাকবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। অতীতের ইতিহাস বলে, ১৯৯৭ সালে জাপানে স্বাক্ষরিত কিয়োটো প্রটোকলে শিল্পোন্নত ৩৭টি দেশ কার্বন নিঃসরণ কমানোর আইনি বাধ্যবাধকতাসহ চুক্তি করেছিল। সে চুক্তিতে অঙ্গীকার পূরণ না হলে জরিমানার বিধানও ছিল। অথচ সেই চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। কপ-২৭ নামে পরিচিত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন মিসরের শার্ম আল-শেখে শুরু হবে। সম্মেলনটি এমন একসময় হচ্ছে যখন হর্ন অব আফ্রিকা নামে পরিচিত সোমালিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ খরা এবং দুর্ভিক্ষের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণের মাত্র ৪ শতাংশ আফ্রিকা থেকে নির্গত হয়। মহাদেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গুরুতর প্রভাব ভোগ করছে। নাইরোবিতে প্রকৃতি সংরক্ষণের নীতি ও সরকারি সম্পর্কবিষয়ক আফ্রিকার পরিচালক মুহতারি আমিকু কানো ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিনিয়োগের তালিকা দিয়েছেনপ্রযুক্তিগত স্থানান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান। এই ৩টি উপাদান ছাড়া আলোচনা অর্থহীন।

গ্লাসগোতে গত বছরের কপ-২৬ সম্মেলনে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। প্রথম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় জার্মানির বার্লিনে ১৯৯৫ সালে। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কপ-২১ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলো প্যারিস চুক্তিতে অনুমোদন দেয়। এটি ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় রাষ্ট্রসমূহের করণীয় নির্ধারণে একটি যুগান্তকারী চুক্তি। এর অধীনে প্রতিটি দেশ কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন ব্যবস্থা সম্পর্কে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করবে, যা আসলে বৈশ্বিক উষ্ণতা ‘প্রাক-শিল্প স্তরের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে’ নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি সম্মিলিত এবং সমন্বিত উদ্যোগ। ২০২১ সালে প্রকাশিত চরম আবহাওয়া-সংক্রান্ত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ভারত বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। শুধু ২০২২ সালে একাধিক চরম ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ায় আঘাত করেছে। পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা কমপক্ষে ৩৩ মিলিয়ন মানুষকে প্রভাবিত করেছে এবং কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বছরের শুরুর দিকে, ব্যাপক বন্যা উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকাকে বাস্তুচ্যুত ও ধ্বংস করেছে। বলা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনই এর কারণ। এর সুবাদে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩৪টি উন্নয়নশীল দেশের জোটের সভাপতি দেশ হিসেবে পাকিস্তান ক্ষতিপূরণের বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে। যুদ্ধে উন্নত বিশ্ব কত অর্থ ব্যয় করছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার প্রত্যাশা করছে অনেক দেশ। আয়োজক মিসর সতর্ক করে দিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি বৃদ্ধি পেলে সম্মেলনকে ঘিরে আস্থার সংকট তৈরি হবে। কপ ২৭-এ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নানা ক্ষয়ক্ষতি ও লস অ্যান্ড ড্যামেজ প্রধান আলোচনার বিষয় হবে। উন্নত দেশগুলো লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করার কথা রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন