আওয়ামী লীগকে পাস নম্বর দেওয়া যাবে কি

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০২২, ১৩:০৩

আওয়ামী লীগের টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সময়ও শেষ হয়ে আসছে। আর এক বছরের কিছু সময় পরই আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মুখোমুখি হতে হবে। ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা রাজনৈতিক দলের পাঁচ বছরের কাজের মূল্যায়ন হয় নির্বাচনের মাধ্যমে।


ভোটের মাধ্যমে জনসাধারণ এই মূল্যায়ন করে থাকেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী লীগকে পাস নম্বর দিয়েছিল অনেকটা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই। যাঁরা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে স্বপ্ন দেখার সাহস হারিয়ে ফেলেছিলেন, তাঁরাও ওই নির্বাচনের পর আবার আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর, নব্বইয়ে এরশাদ পতনের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে যেআশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল, সক্রিয়তা দেখা দিয়েছিল, তা পরবর্তী সময়ে স্থায়ী হয়নি রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদূরদর্শিতার জন্যই।


মানুষের শক্তির ওপর নির্ভর না করে রাজনীতি কালোটাকা, পেশিশক্তি, আমলাতন্ত্র, ধর্মান্ধসহ নানা রকম অপশক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠায় শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ যে রাজনীতিবিমুখ হয়ে উঠেছিলেন, তা কিছুটা কেটেছিল ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর। আওয়ামী লীগের ওপর মানুষ আস্থা রেখেছিল আশা নিয়ে। দিনবদলের যে অঙ্গীকার আওয়ামী লীগ করেছিল, মানুষ তা বিশ্বাস করেছিল। টানা প্রায় ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পর এখন প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক যে দিনবদল কতটুকু হলো বা হয়েছে?


প্রতিহিংসার রাজনীতি, ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেশের উপকার, না অপকার করেছে, তা গভীরভাবে বিচার-বিশ্লেষণের সময় এখন এসেছে। মানুষের সৃজনশীলতা ও সুকুমার বৃত্তিগুলো বিকশিত হওয়ার সুযোগ সম্প্রসারিত না করে একধরনের মূঢ়তাকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশ ও জাতির কত বড় ক্ষতি করা হয়েছে, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করা যেতে পারে, এ নিয়ে একাধিক গবেষণাও হতে পারে। তবে এখন যেটা জরুরি তা হলো, রাজনীতিকে জনসম্পৃক্ত করার উপায় খুঁজে বের করা। মানুষকে দূরে ঠেলে নয়, কাছে টেনেই জনকল্যাণমুখী রাজনীতির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।


দেশের রাজনীতির সঠিক ইতিহাস অবিকৃতভাবে তুলে ধরার কাজটি এড়িয়ে গিয়ে কিংবা যখন যেটা সুবিধার মনে হয়, তখন সেই উদাহরণ তুলে ধরে আর যা-ই হোক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী দল গড়ে তোলা যায় না। আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিহাসের পাঠ গ্রহণের আগ্রহ কম। সঠিক ঘটনা কিংবা তথ্য না জেনে মনগড়া কথা বলে তাৎক্ষণিকভাবে বাজিমাত করতে গিয়ে কত বড় ক্ষতি রাজনীতিবিদেরা করেছেন, সেটাও এখন ভাবার বিষয়। ক্রমাগত বিকৃত প্রচার-প্রচারণার ফলে অনেকের মনেই, বিশেষ করে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে নানা রকম বিভ্রান্তি আছে। স্বাধীনতা-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল নিয়ে অনেকের মধ্যেই স্বচ্ছ ধারণার অভাব রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও