কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মন্দার পদধ্বনি

সমকাল সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ১১:২১

প্রথমে করোনা মহামারি, তাহার পরপরই আরম্ভ হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে, বিশেষ করিয়া আমেরিকা ও ইউরোপের অর্থনীতিকে যে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে ফেলিয়াছে, তাহা আর নতুন কথা নহে। ভয়াবহ মূল্যস্ম্ফীতির পাশাপাশি তীব্র জ্বালানি সংকট দেশগুলোর সরকারকে রীতিমতো তাড়াইয়া বেড়াইতেছে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন যেই বিপদটি এইসব দেশের পাশাপাশি আরও বহু দেশের শাসকদের কপালের ভাঁজ বাড়াইয়া দিয়াছে, তাহা হইল বিশ্বমন্দার শঙ্কা। মঙ্গলবার সমকালের শীর্ষ প্রতিবেদনে বলা হইয়াছে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার এবং অর্থনীতিবিদরা প্রায় নিশ্চিত শঙ্কা প্রকাশ করিয়াছেন, ভয়াবহ একটা বৈশ্বিক মন্দা আমাদের দ্বারপ্রান্তে; যাহা চলমান বৎসরের শেষ প্রান্তে আরম্ভ হইয়া আগামী বৎসর জুড়িয়া থাকিতে পারে এবং যাহার তীব্রতা ২০০৮ সালের মন্দার তুলনায় ভয়াবহ হইতে পারে।


এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়াছে; যেখানে বলা হইয়াছে, এই বৎসর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ হইতে পারে, যাহা আগামী বৎসর কমিয়া ২ দশমিক ৩-এ দাঁড়াইতে পারে। ইহার ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ১৭ লাখ কোটি ডলার ঘাটতি তৈরি হইতে পারে, যাহা পুরা অর্থনীতির ২০ শতাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘাটতির ধাক্কা আসিয়া লাগিবে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান দেশগুলির অর্থনীতির উপর। কারণ, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স- জাতীয় অর্থনীতির দুই লাইফ লাইনের জন্য ইহাদের ঐ বড় অর্থনীতির দেশগুলির উপর নির্ভর করিতে হয়। বলা বাহুল্য, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের ৮০ শতাংশের বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলি। সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্সের জোগানও আসিয়া থাকে মধ্যপ্রাচ্যের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ হইতে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর বাহির হইয়াছে, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স- দুই আয়েই ভাটার টান পড়িয়াছে। গত বৎসরের একই মাসের তুলনায় রপ্তানি আয় কমিয়াছে সোয়া ৬ শতাংশ আর রেমিট্যান্স ১০ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও