ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের রাজনীতি

ঢাকা পোষ্ট ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: ০৯ মে ২০২৫, ১১:৫৫

সারা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের খবর। এর আগেও দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার যুদ্ধ হয়েছে এবং বর্তমান সময়ে যে কারণে দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্কের অবনমন, এর চেয়ে বেশি অবনমনের ঘটনাও ঘটেছে। সেসব যুদ্ধের কোনোটাই এত উত্তেজনা ছড়াতে পারেনি, যতটা না এবার হচ্ছে।


দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ বড় সংঘাতের ঘটনাটি ঘটে ১৯৮৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে। এপর্যন্ত যতবারই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে, এর পেছনের কারণগুলো ছিল একই, কাশ্মির। এর মধ্যে জল অনেকদূর গড়িয়েছে।


নব্বই দশকের শেষে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে যখন পাকিস্তান সফলভাবে তার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়, এরপর থেকেই ধারণা করা যাচ্ছিল যে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে কাশ্মির নিয়ে উত্তেজনা অজানা নানারকম শঙ্কার জন্ম দিতে পারে।


যদিও ২০১৬ সালে উরিতে এবং ২০১৯ সালে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় সামরিক এবং আধাসামরিক বাহিনীর যথাক্রমে ১৯ এবং ৪০ জন নিহত হয়েছিল, সেসময় ভারতের পক্ষ থেকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হলেও উত্তেজনা আর বাড়তে না দিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নীরবতার নীতি অনুসরণ করা হয়।


এবারের ঘটনাটিও অতীতের ঘটনাগুলোর মতোই, তবে তফাত হচ্ছে কাশ্মিরের পেহেলগামের হামলাটিতে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল নিরীহ পর্যটকদের, যেখানে ২৬ জন প্রাণ হারান। তবে এটাও নিশ্চয়ই আমাদের স্মরণে রয়েছে যে ২০০৮ সালেও মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলায় ১৬৬জন নিহত হয়েছিলেন, যারা সবাই বেসামরিক লোক। 



সে সময়ও সেসব হামলার পেছনে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী, যারা এই হামলা পরিচালনা করেছিল, তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের সরকারকে দায়ী করা হয়েছিল।


অতীতের এসব দৃষ্টান্ত থেকে তাই এবার প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক যে উত্তেজনা নিবারণের অনেক পথ থাকতে, এমনকি কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যা সমাধানের পথ এড়িয়ে ভারতের দিক থেকে কেন পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলো। এর পেছনে কারণ একটাই, আর সেটা হলো এই সংঘাতকে বাস্তবিক অর্থেই রাজনীতিকরণ করা হয়ে গেছে।


শুধুই কি ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনা এখানে মুখ্য ভূমিকা হিসেবে কাজ করেছে, নাকি এর পেছনে আন্তর্জাতিক রাজনীতিরও কার্যকর ভূমিকা রয়েছে, সেসব বিষয়ও প্রসঙ্গক্রমে এসে যায়। খুব বেশি নয়, আমরা যদি কিছুটা পেছনে তাকাই, তাহলে দেখব পেহেলগামের হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে পশ্চিমা দেশগুলো সেসময় ভারতের প্রতি তাদের সহানুভূতি ব্যক্ত করেছিল।


এক্ষেত্রে মার্কিন মিত্র ইসরায়েল একধাপ এগিয়ে ‘ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে’ বিষয়টির উল্লেখ করে তাদের সমরসজ্জার প্রতি প্রকারান্তরে সমর্থন ব্যক্ত করে। অন্যদিকে ইরান এবং তুরস্কের মতো দেশগুলো পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করতে দেখা যায়।


পেহেলগামের হামলার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একতরফাভাবে পাকিস্তান সরকারকে দোষারোপ করা হলে এবং পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এর দায় অস্বীকার করা হলে অনেক দেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পন্থায় উত্তেজনা প্রশমনের অনুরোধ জানানো হলেও ভারতের এই সমরসজ্জা পাকিস্তানকেও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে প্রভাবিত করে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও