অবকাঠামো উন্নয়নের চেয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণই লক্ষ্য

ঢাকা পোষ্ট ড. কাজী মারুফুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৪৩

০২ জুন ২০২৫ অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন। ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার এই বাজেট পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় আকারে কিছুটা ছোট। একে বাস্তববাদী ও জনকল্যাণমুখী হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।


বাজেট বক্তৃতায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প হ্রাস এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন ও কর্মসংস্থানের মতো জরুরি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি স্থিতিশীলতা ও ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।


তবে হ্যাঁ, এই আশার আলোর মাঝেও কিছু ধূসর ছায়া উঁকি দিচ্ছে। বেসরকারি খাত, বিশেষত আমাদের অর্থনীতির প্রাণ এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ) এবং তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে বাজেট যেন কিছুটা নীরব।


দেশের বিভিন্ন থিংক ট্যাঙ্ক ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন ইতিমধ্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে বরাদ্দ কমানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবুও চলুন, বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো দেখে আসি, আর পাশাপাশি কোথায় কোথায় আমাদের আরও নজর দেওয়া দরকার, সে বিষয়েও একটু আলোচনা করি।


এই বাজেটের সবচেয়ে প্রশংসনীয় দিক সম্ভবত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সুস্পষ্ট অঙ্গীকার। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯.০৫ শতাংশের কাছাকাছি। লক্ষ্য ২০২৬ অর্থবছরে এটিকে ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। অর্থ উপদেষ্টা জোর দিয়েই দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর থেকে মূল্যস্ফীতি ক্রমশ কমছে – যদিও প্রতিদিনকার বাজারে তা সহসা টের পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি ৯.১ শতাংশ থেকে কমেছে এবং এই মাসে নাকি তা ৮ শতাংশে নামতে পারে। এটুকু খবর তো আমাদের জন্য খানিকটা স্বস্তির।


কীভাবে কমবে এই মূল্যস্ফীতি? কৌশলটা হলো, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণের জোগান বাড়ানো। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা – যা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বেশ সহনীয়। এর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা আসবে বিদেশি উৎস থেকে, আর ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা দেশের ভেতর থেকে।


এই কৌশল যদি ঠিকঠাক কাজ করে, তাহলে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর সরকারের ঋণের চাপ কমবে, আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তা সাহায্য করবে। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম আর ডলারের বিনিময় হার – এই দুটি বিষয় যে আমাদের লক্ষ্য পূরণের পথে বড় চ্যালেঞ্জ, তা ভুলে গেলে চলবে না।


আগের সরকারগুলোর সময়ে আমরা মেগা প্রকল্পের নামে অনেক অর্থ ব্যয় হতে দেখেছি। এই বাজেটে অর্থ উপদেষ্টা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জনকল্যাণই তাদের মূল লক্ষ্য। অর্থাৎ এবার অবকাঠামো উন্নয়নের চেয়ে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।


নতুন কোনো মেগা প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা নেই, বরং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ আর প্রয়োজনীয় অবকাঠামোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ একদিকে যেমন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দেবে, তেমনই মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও