একটা জনগোষ্ঠীর ভাবনায় যখন ‘নারীর পোশাক’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:৪৩

একবার ভেবে দেখুন, আমাদের চারপাশে কিন্তু চিন্তার অনেক উপকরণ ছড়ানো। করোনার প্রভাবে নাকাল বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বজুড়ে চলছে খাদ্যসংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নিষ্পত্তি হচ্ছে না, কড়া নাড়ছে বৈশ্বিক মন্দা। এর ফলে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তা আমাদের রাতের ঘুম হারাম হওয়ার জন্য যথেষ্ট। পুরোনো লোডশেডিং নতুন করে ফিরে এসেছে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি অফিস-আদালতে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা চারদিকে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আকাশ ছুঁয়েছে।


এই যে এত এত চিন্তার ইস্যু তার কোনো কিছুই যেন একটি সুবিশাল জনগোষ্ঠীকে স্পর্শ করে না। তাদের চিন্তাভাবনার দিগন্ত যেন একটি প্রান্তেই আটকে গেছে; আর সেটি হলো নারীর পোশাকের প্রান্ত। নারী কী পোশাক পরল, কেন পরল, কোথায় পরল, কীভাবে পরল, পোশাকের কার্যকারণ ও ফলাফল ইত্যাদি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে করতে তাদের হাঁসফাঁস অবস্থা। নারীর পোশাক নিয়ে ভীষণ চিন্তিত এই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় দিন দিন বাড়ছে। নারীর পোশাক নিয়ে তাদের যত চিন্তা তার কিয়দংশ যদি জাতীয় সমস্যার সমাধান নিয়ে থাকত, তাহলে টার্গেটের অনেক আগেই ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে হয়তো স্বীকৃতি পেত বাংলাদেশ।


মনে পড়ে কয়েক মাস আগে অফিসের কাজে সিলেট গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন নারী সহকর্মী। এক বিকেলে সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে চা-নাশতা করতে বসেছিলাম। কোনো একটা জরুরি প্রয়োজনে খাওয়া শেষ না করেই অন্যদের রেস্টুরেন্টে রেখে হোটেলে ফিরতে হয়েছিল আমাকে। পরে শুনলাম, রেস্টুরেন্টে খেতে বসা বেশ কিছু পুরুষ আপত্তি তোলায় নাকি আমার নারী সহকর্মীদের বসার স্থানটি পর্দা টেনে আড়াল করা হয়েছিল। যদিও আমার সঙ্গে থাকা নারীরা সবাই ছিলেন অন্য ধর্মের অনুসারী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও