কবি মদন পাটোয়ারী এবং বই নিয়ে কেলেঙ্কারি

বিডি নিউজ ২৪ আনিসুর রহমান প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:৪০

সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার জেরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আমলা-লেখকদের বইয়ের একচেটিয়া প্রাধান্য দেয়া কলঙ্কময় বইয়ের তালিকাটি বাতিল করেছে। ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু তারপরও গল্প থাকে। থাকে প্রশ্ন। সেই সব গল্প আর প্রশ্ন নিয়েই এই লেখার অবতারণা।


প্রথমে গল্পটাই বলতে চাই। গল্পের শিরোনাম, ‘কবি মদন পাটোয়ারী’। কবি মদন পাটোয়ারীর জীবনের খায়েশ আর খোশের বিত্তান্ত বলে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বই কেনার তুঘলকি ব্যাপার স্যাপার নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরব।


গল্পটি এরকম– জীবনে এত কিছু করলাম যে, বলে শেষ করা যাবে না। কোনো জায়গায় বিমুখ হইনি, বিফল হইনি। এই ভূবঙ্গে একটা সফল মানুষের নাম নিলে, নিরপেক্ষ বিচারে আমার নাম নিতে হবে। জীবনে যা করতে চেয়েছি, করেছি। যা হতে চেয়েছি, হয়েছি। জীবনে আমলা হতে চেয়েছি, আমলা হয়েছি। জীবনে কবি হতে চেয়েছি, কবি হয়েছি।

আমলা হিসেবে যতগুলো ধাপ সবগুলো পেরিয়ে একদম চূড়ান্ত পর্যন্ত গিয়েছি। এই দেশে একটা সফল আমলার নাম নিলে আমার নাম নিতে হবে। এত সরকার আইলো-গেলো আমার অবস্থানের কোনো হেরফের হয়নি। আমি ঠিক ঠিক জানি কোন সরকারের কি দাওয়াই। কোন দলকে কোন ব্রান্ডের তেল দিতে হবে। আরে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর ‘তৈল’ প্রবন্ধ পড়া আছে না।


সাহিত্য পড়ার একটা প্রায়োগিক বা অ্যাপ্লায়েড দিক আছে না। সাহিত্য পড়ে খালি ভাব নিলে হবে? তা কাজে প্রয়োগ করতে হবে না? আমি যেমন তেমন আমলা না। আমার লেখা কবিতা সরকারের গরু বিষয়ক মন্ত্রী অনেকবার সংসদে পড়েছে। সেই খবর দেশের সব সংবাদমাধ্যম প্রচার করেছে।


বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে এরকম ঘটনা কি আর একটাও আছে? থাকলে নিজের ইতিহাস ঘাইটা-ঘুইটা একটা নাম বের করুক তো দেখি। কবি হিসেবেও আমি কি ফেলনা? দেশের যেকোনো পত্রিকার সাহিত্য পাতা আমার কবিতা পেলে ধন্য ধন্য করে। সম্পাদকেরা আমার সঙ্গে সেলফি উঠায়। সাহিত্য সম্পদকরা ওই সব ছবি হা কইরা দেখে। আমার কবিতা দরকার হলে প্রথম পাতায় ছাপা হয়। আমি কি ভাতে মরা কবি নাকি? প্রকাশকরা একরকম লাইন ধরে থাকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও