মামা, ধর্ম যার যার উৎসব সবার
পৃথিবীতে মানুষের আনন্দ-উৎসবের শেষ নেই।
১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস, কিন্তু তাইওয়ানে ভূত-পেতনি মাসের সূচনা এইদিন, উৎসব দেশজুড়ে; আগস্টের শুরুতে কলম্বিয়ায় পুষ্প উৎসব, আর্জেন্টিনার ট্যাঙ্গো নাচের উৎসব, সিঙ্গাপুরে শিল্পকলা উৎসব। নটিংহিল কার্নিভ্যালে তো গোটা ইউরোপই যোগ দেয়; যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদাতে চলে বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যাল। মানুষের কুশপুত্তলিকা বানিয়ে পোড়ানো। অন্য মাসগুলোতে চলে বউ কাঁধে নিয়ে চলার উৎসব, এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর পা স্বামীর ঘাড়ের দুপাশে, মাথা নিচে, স্বামীর কোমর বরাবর। কানাডাতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বরফে চুল ঢাকার উৎসব, জাপানে জননাঙ্গ উৎসব, থাইল্যান্ডে বানর খাওয়ানোর উৎসব, উত্তর কোরিয়া কাদা ছোড়াছুড়ি উৎসব, টমেটো উৎসব, কোলবালিশ লড়াই উৎসব। সব ক্ষেত্রেই উৎসব সবার। উৎসবের অর্থনীতি উপেক্ষিতই রয়ে গেছে। কিন্তু আর নয়।
হালে বাংলাদেশে যোগ হয়েছে জ¦ালানি তেল উৎসব। আমি কোনো দলে নেই, কোন্দলেও নেই; জাতের সঙ্গেও নেই, বজ্জাতের সঙ্গেও নেই, ডিজিটালেও নেই, ম্যানুয়ালেও নেই তবু এক রসিকের সৃষ্ট একটি ‘মিম’ আমার কাছে যখন এসেছে, অন্য কারও কাছে যেতে বাকি থাকার কথা নয়। ডলারের কাছে টাকার মার খাওয়া নাজুক পরিস্থিতির দিনেও আমি যথেষ্ট আমোদ পেয়েছি :
ওই মিয়া তোমার গাড়ি তো ডিজেলে চলে না। সিএনজিতে চলে। তুমি ভাড়া বাড়তি রাখবা কেন?