বন্যায় রেলপথে ক্ষতি, ঈদযাত্রায় শঙ্কা
বন্যায় রেলপথের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশন, রেললাইন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে ব্রিজও ভেঙে গেছে। শুরুতে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়।
বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় ৫ থেকে ৮ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে। চালক ও গার্ডরা বলছেন, চরম ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চালাতে হচ্ছে। অপরদিকে রেলওয়ে প্রকৌশল দপ্তর বলছে, তলিয়ে যাওয়া রেললাইন থেকে ধীরে ধীরে পানি সরছে।
কিন্তু লাইনে দীর্ঘ সময় পানি থাকায় মাটি নরম হয়ে গেছে। ফলে উনিশ থেকে বিশ হলেই লাইন দেবে যাচ্ছে। ব্রিজের দুপাশের মাটি ধসে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আসছে ঈদ। এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি যাত্রী নিয়ে একেকটি ট্রেন চলে।
পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত সংস্কার কাজ চলছে। তবে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে শঙ্কা আরও বাড়বে। মঙ্গলবার বিকালে রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে বলেন, বন্যায় রেলওয়ে স্টেশন, রেললাইন, ব্রিজের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, তলিয়ে যাওয়া লাইন, স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে পানি নামলেও ওইসব স্থানে মাটি নরম। ট্রেন যথেষ্ট লোড নিয়ে চলাচল করে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমরা ঝুঁকি নিয়েই গতি কমিয়ে ট্রেন চালাচ্ছি।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অতিরিক্ত লোকবল দিয়ে দ্রুত কাজ করানো হচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তর মাঠ পর্যায়ে সরঞ্জাম নিয়ে রয়েছে। মজুত করা হয়েছে নির্মাণসামগ্রী। বন্যায় রেলসেতুর দুপাশ থেকে মাটি ধসে গিয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করেছে।
ড. হুমায়ুন কবির বলেন, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রেলপথের বারহাট্টা রেলওয়ে ব্রিজের বেশ ক্ষতি হয়েছে। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্রিজটি মেরামত করতে দিন-রাত কাজ চলছে। এ ছাড়া সিলেট লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খুবই কম গতি নিয়ে ট্রেন চালাতে হচ্ছে।
ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ সন্দেহজনক এলাকায় মালামাল মজুত করে রাখছি। যে কোনো পরিস্থিতিতে যেন দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা যায়।