রাজনীতির সাপে-নেউলে

প্রথম আলো মহিউদ্দিন আহমদ প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২২, ১৩:১৮

স্কুলে পড়ার সময় হঠাৎ একদিন নতুন একটি শব্দের সঙ্গে পরিচিত হলাম—বাগ্‌ধারা, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে থাকত—‘নিচের যেকোনো তিনটি বা পাঁচটি বাগ্‌ধারা লইয়া বাক্য রচনা করো’। শুরুর দিকে ঝামেলা হতো। কেননা, শব্দগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে পরিচয় থাকলেও একাধিক শব্দ মিলিয়ে যে অন্য রকম অর্থ হয়, তা জানতাম না। ঘরে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁরা কদাচিৎ এসব ভাষা ব্যবহার করতেন।


বাগ্‌ধারার সংজ্ঞা ছিল এ রকম, ‘যেসব বাক্য বা বাক্যাংশের তাৎপর্য তাদের অন্তর্গত শব্দসমূহের আলাদা আলাদা অর্থের জ্ঞান থাকলেই অনুধাবন করা যায় না, বাক্য বা বাক্যাংশের অর্থ সামগ্রিকভাবে জানতে হয়।’ পরীক্ষায় প্রথমবার যখন বাগ্‌ধারা নিয়ে বাক্য রচনার প্রশ্ন দেখি, থতমত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, ক্লাসে এর আগে এসব পড়ানো হয়নি। পরীক্ষার প্রশ্নে এটা দিয়ে আমাদের জ্ঞান বা পাণ্ডিত্যের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তারপরও না বুঝে আমি প্রশ্নের উত্তর দিলাম, অর্থাৎ বাক্য রচনা করলাম। একটা বাগ্‌ধারার কথা মনে আছে—ইঁচড়ে পাকা। কোনোভাবেই অর্থ বের করতে পারছি না। শেষমেশ মনে হলো, যেহেতু ‘পাকা’ শব্দটি আছে, এটি একটি ফল না হয়ে যায় না। ব্যস, লিখে দিলাম—আমি ইঁচড়ে পাকা ফল খাই না। নম্বর পেয়েছিলাম বলে মনে হয় না।


পরে অনেক কিছুই জেনেছি, শিখেছি। কথায় কথায় আমরা বাগ্‌ধারা ব্যবহার করি। অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি দু-তিনটি শব্দ দিয়ে যে ভাব প্রকাশ করা যায়, আমরা বাগ্‌ধারা দিয়ে তা আরও স্পষ্ট করে তুলি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও