কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি ও ডলারের চাপে দেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি। এক যুগ ধরে ধারাবাহিকভাবে অর্থনীতির উচ্চহারে প্রবৃদ্ধিই এর প্রমাণ। হঠাৎ করে যেন ঝড়ের মতো সবকিছু তছনছ করে দিল করোনা অতিমারী। সব শঙ্কা মোকাবিলা করে অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, ঠিক তখনই দেখা দেয় রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট। দিন যত গড়াচ্ছে, অর্থনীতির নেতিবাচকতা তত তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এ যেন ‘যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ’- এ রকম একটি ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দেবে মন্দা। পশ্চিমা বিশ্বে চলছে এখন রেকর্ড মূল্যস্ফীতির যুগ। একই সঙ্গে চীনে এখনো বিভিন্ন অঞ্চলে আছে লকডাউন। এসব কিছুই অনেকে ঝড়ের পূর্বাভাস মনে করছেন। সারাবিশ্ব ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কিত, বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বিশ্বের মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে দেশে নাগরিক অসন্তোষ তৈরি হতে পারে- এমনই শঙ্কা প্রকাশ করছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তৈরি হতে পারে রাজনৈতিক অস্থিরতা। গরিব দেশগুলোর দুর্দশার অন্ত থাকবে না।


ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও মূল্যস্ফীতির হার ত্রিশ-চল্লিশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভসহ বিশ্বের বড় অর্থনীতির সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মরিয়া। এ ক্ষেত্রে একটাই করণীয়। তা হলো নীতি সুদহার বৃদ্ধি করা। ইতোমধ্যে সব বড় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বৃদ্ধি করেছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তা কতটুকু কার্যকর হবে, এটি অনুমান করা সহজ নয়। বিশ্বায়ন এ যুগে প্রতিটি দেশই একে অপরের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই বাংলাদেশের অর্থনীতিও হুমকির মুখে। অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মহামারীকালে বেড়ে যাওয়া দরিদ্রতা নিরসন করে আয়বৈষম্য কমানো ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করাই হলো অর্থনৈতিক উন্নয়ন ধরে রাখার পূর্বশর্ত। একটি দেশের অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা কতটা সুসংহত; এটি বোঝার জন্য মূল্যস্ফীতি হার, মুদ্রার বিনিময় হার এবং ঋণের সুদের হার- এ তিনটি সূচক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতি স্থিতিশীলতায় সূচকগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে বিনিয়োগ কমে যায়। ফলে কর্মসংস্থানেও দেখা দেয় স্থবিরতা। করোনার আগে সর্বশেষ অর্থবছর ছিল ২০১৮-১৯। বর্তমানে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলা হলেও অর্থনীতির সূচকগুলো আগের অবস্থান থেকে এখনো অনেক দূরে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও