সেহরি ও ইফতারে রয়েছে প্রভূত কল্যাণ

জাগো নিউজ ২৪ মাহমুদ আহমদ প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২২, ০৯:২৩

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অপার কৃপায় পবিত্র রমজানের রহমতের দশকের আজ শেষ দিনের রোজা রাখার আমরা তৌফিক লাভ করেছি, আলহামদুলিল্লাহ। এ জন্য আল্লাহপাকের দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা জানি, রমজান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করার মাধ্যম। এ দিনগুলোতে আমরা তার সন্তুষ্টির জন্য যে কাজই করি না কেন, তিনি তাতে অনেক অশেষ কল্যাণ দান করেন।


রমজানের বিশেষ একটি দিক হচ্ছে সেহরি ও ইফতার। কেননা, এতে বরকত রয়েছে। এ সম্পর্কে মহানবি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানে সেহরি খাও, কেননা সেহরির মাঝে বরকত রয়েছে’ (মুসলিম)।


মহানবি (সা.) আরো বলেছেন, ‘আমাদের ও কিতাবীদের (বনী ইসরাইলিদের) রোজার পার্থক্য হলো সেহরি খাওয়া’ (মুসলিম)। তাই বলা যায়, রোজার সাথে সেহরি খাওয়ার সম্পর্ক বিদ্যমান। অনেকে এমনও আছেন, সেহরি খায় ঠিকই কিন্তু গভীর রাতে খেয়ে ফেলেন, যা মোটেও ঠিক নয়। বুখারি শরিফের একটি হাদিসে এভাবে উল্লেখ রয়েছে, মহানবির (সা.) সেহরি খাওয়া আর ফজরের নামাজের আজানের মাঝে পঞ্চাশ আয়াত তেলাওয়াত করার সময় অবশিষ্ট থাকতো।


মুসলিম শরিফে বলা হয়েছে, হজরত রাসুল করিম (স.) হজরত বেলালের আজান শুনে সেহরি খাওয়া বাদ দিতে বারন করেছেন। কেননা, হজরত বেলাল (রা.) রাত থাকতেই আজান দিয়ে দেয়’। তাই সেহরির যে সময় নিদ্ধারণ আছে সেই সময়ই সেহরি খাওয়া উচিত।


এছাড়া মহানবি (সা.) সেহরি খাওয়াতে কিছুটা বিলম্ব করতে এবং ইফতার সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে করাকে পছন্দ করতেন এবং তিনি (সা.) তার উম্মতকে এই নির্দেশই দিয়েছেন, তারাও যেন এমনটি করেন।


এ বিষয়ে হজরত রাসুল করিম (সা.) বলেছেন, ‘লোকেরা যতদিন দ্রুত ইফতার করবে, ততদিন কল্যাণের মাঝে অবস্থান করবে’ (বুখারি)। আরেক স্থানে এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, হজরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবি (সা.) বলেছেন, ‘যখন রাত ঐ (পূর্ব) দিক হতে আসে এবং ঐ (পশ্চিম) দিকে চলে যায় আর সূর্য ডুবে যায় তখন যেন রোজাদার ইফতার করে নেই’ (বুখারি)।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও