কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কোন দিকে এগুচ্ছে পৃথিবী

দেশ রূপান্তর রায়হান আহমেদ তপাদার প্রকাশিত: ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১৯:২৮

উনিশ শতকে মানুষ গড়ে মাত্র ৩৭ বছর বাঁচত, আজ ৭৮ বছর। কাজেই সিঙ্গুলারিটি পয়েন্টে পৌঁছাতে না পারলেও আগামীতে যে গড় আয়ু বেড়ে ১০০ পার করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে সামান্য আর্থসামাজিক ভারসাম্যহীনতাতেই কিন্তু ভীষণ রকম ডিস্টোপিয়ান হয়ে উঠতে পারে। দেখা দিতে পারে আরও বেশি অসাম্য; সেখান থেকে হতাশা ও নৈরাজ্য। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে উৎপাদনে রোবটের ব্যবহার এমন একপর্যায়ে পৌঁছতে পারে যে আফ্রিকা ও এশিয়ার বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ধনী দেশগুলোর সম্পদের ফারাক অনেকগুণ বেড়ে যাবে উন্নত দেশগুলোর ত্রুটিহীন অসঙ্ঘাতির কারণে। এরা তাদের বিপুল সম্পদ নিয়ে প্রথমে পৃথিবীর আন্তর্জাতিক পানি সীমানায় নিজস্ব কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে বড়লোকপাড়া স্থাপন করবে। যাইহোক মূল কথায় আসা যাক। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন অভিযান শুরুর আগের দিন পুতিন ঘণ্টাব্যাপী এক দীর্ঘ বক্তৃতা করেন। এই বক্তব্যে ইউক্রেনের আলাদা কোনো রাষ্ট্রের ইতিহাস নেই এবং ইউক্রেন রুশ জাতি ও ইতিহাসের অংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি। এতে করে ইউক্রেনের স্বাধীন দেশ হিসেবে অস্তিত্ব লাভের বিরুদ্ধে পুতিন হুবহু ফাউন্ডেশন অব জিওপলিটিক্সে উল্লিখিত ডুগিনের বক্তব্যই তুলে ধরেন। ডুগিন উল্লেখ করেন, ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইউক্রেনকেও অংশ বানাতে হবে রাশিয়ার। পুতিন ডুগিনের প্রথম পরামর্শ ২০১৪ সালে বাস্তবায়ন করেন। একই সঙ্গে দনবাস অঞ্চলে রুশ বংশোদ্ভূত প্রক্সিকে দিয়ে লুহানস্ক ও দনেটক্সের একটি অংশ দখল করে নেওয়া হয়। আর এবার ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করার প্রাক্কালে এই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন পুতিন।


কিন্তু ডুগিনের পরিষ্কার কথা ছিল, ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করা উচিত; কারণ একটি রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের কোনো ভূ-রাজনৈতিক অর্থ নেই, কোনো বিশেষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বা সর্বজনীন তাৎপর্য নেই, কোনো ভৌগোলিক স্বাতন্ত্র্য নেই, কোনো জাতিগত বৈশিষ্ট্য নেই। এর নির্দিষ্ট আঞ্চলিক উচ্চাকাক্সক্ষা সমগ্র ইউরেশিয়ার জন্য একটি বিশাল বিপদের কারণ হতে পারে। ইউক্রেনীয় সমস্যা, মহাদেশীয় রাজনীতি নিয়ে কথা বলা সাধারণভাবে অর্থহীন। ইউক্রেনকে স্বাধীন থাকার অনুমতি দেওয়াই উচিত নয়। পুতিন এসব কথাই তার প্রাকযুদ্ধ ভাষণে বলেছিলেন। রাষ্ট্রিক ক্ষমতার সরঙ্গ ভূ-রাজনৈতিক দর্শনের সম্মিলন ঘটলে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর কর্মকা-ে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর স্যামুয়েল হান্টিংটনের সভ্যতার দ্বন্দ্ব তত্ত্বকে গ্রহণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জুনিয়র বুশ যখন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে নেমে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে একের পর এক অভিযান চালান তখন আমেরিকান প্রশাসনের রাডার থেকে বেশ খানিকটা বাইরে থেকে যায় পুতিনের কর্মকা- ও রাশিয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। অথচ পুতিন কেবল দেশ চালানোর জন্য ক্ষমতায় আসেননি। তিনি রুশ সাম্রাজ্য বিস্তারের এক আগ্রাসী মতবাদে বিশ্বাস নিয়ে ক্ষমতায় বসেন। পুতিনের এই ডকট্রিনের গুরু হলেন ষাটোর্ধ্ব বয়সী আলেকজান্ডার ডুগিন। ওয়াশিংটন পোস্টে গত ২২ মার্চ প্রকাশিত এক কলামে ভ্লাদিমির পুতিনের মস্তিষ্ক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে রুশ কৌশলবিদ ও দার্শনিক আলেক্সান্ডার ডুগিনকে। ডুগিনের কার্যক্রম যদি কেবলই তত্ত্বের মধ্যে সীমিত থাকত তাহলে এর প্রভাব বিশ্বপরিস্থিতিতে তেমন একটা পড়ত না। পুতিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়া ডুগিনকে দেশটির ভবিষ্যৎ তাত্ত্বিক গাইড হিসেবে গ্রহণ করেছে। সর্বশেষ খবর অনুসারে ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করে বলেছেন, দ্বিতীয় পর্বে তিনি দনবাস অঞ্চলের স্বাধীন ঘোষিত লুহানক্স ও দনেটস্কে জোরদার অভিযান চালাবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও