কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সত্যেন সেনের গান: গণমানুষের দ্রোহের প্রতিচ্ছবি

bdnews24.com অমিত রঞ্জন দে প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২২, ১৬:৪৫

সত্যেন সেন (২৮ মার্চ ১৯০৭–৫ জানুয়ারি ১৯৮১) প্রগতিশীল চিন্তাধারাকে সমাজের তলদেশ অবধি সঞ্চারিত করার প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। তাই তিনি সংস্কৃতির সঙ্গে জীবনকে যুক্ত করার লক্ষ্যে বিপুল কর্মকাণ্ডেরও আয়োজন করে গেছেন। তাই তাকে চিনতে হলে তার কর্মভাণ্ডারকে জানতে হবে। সত্যেন সেনকে জানার অন্যতম উপায় হচ্ছে তার গান। সত্যেন সেন নিজে সুকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন। তিনি একাধারে গান লিখতেন, সুর করতেন এবং গাইতেন। গানের মধ্য দিয়ে তার মেজাজ, লোকমুখিতা, দর্শন ও চিন্তার প্রতিফলন ভীষণভাবে মূর্ত হয়ে উঠেছে। তিনি প্রচুর গান রচনা করেছেন। এ গানগুলোর অধিকাংশই আজ বিলুপ্তপ্রায়। কিছু গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। যতগুলি গানের সন্ধান মিলেছে তা থেকেই সত্যেন সেনের গানের গণমুখীনতার পরিচয় মেলে। সত্যেন সেনের প্রতিটি গানই অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দরের ঐক্য, অসঙ্গতির মাঝে সঙ্গতির সুর ও সাম্য প্রতিষ্ঠার মনষ্কামনা বারংবার ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সত্যেন সেন তার জীবনের প্রথম দিকে যে গানগুলি রচনা করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘লীগ-কংগ্রেস এক হও’। ‘… কংগ্রেস লীগ দেশনেতা শোনরে আমার কথা/ এখনো দেখরে ভাবিয়া/ কোন পথে চলছে, কি মোহে যে ভুলছে/ কোথায় এসেছো আজি নামিয়া।’ এই গানটি তিনি রচনা করেন ১৯৪২ সালে।


১৯৪৩ সাল, বাংলা ১৩৫০ সনে সাম্রাজ্যবাদীদের শোষণনীতির কারণে খাদ্যের দাম বেড়ে যায়। তিন টাকার চাল চৌদ্দ টাকা হয়। বাংলায় দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। যা পঞ্চাশের মন্বন্তর নামে পরিচিত। তখনকার ওই পটভূমিতে সত্যেন সেন রচনা করেন ‘চাউলের মূল্য চৌদ্দ টাকা/ কেরোসিন তেল নাইরে/ কেরোসিন তেল নাই/ হায় কি করি উপায় রে/ কি করি উপায়।’ ওই সময় এ গানটি গেয়ে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা তুলতেন এবং তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সত্যেন সেনের এসব গানের বিষয় এবং দর্শন এমন সময়োপযোগী যে একটু মনোযোগ সহকারে বিশ্লেষণ করলেই সময়ের প্রেক্ষাপট চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে, ভেসে ওঠে একটি দৃশ্যকল্প।


সত্যেন সেনের ভাবনা মানুষকে নিয়ে। মানুষই ছিল তার কাছে প্রধান বিবেচ্য। তার লক্ষ্য ছিল মানুষের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা। যে কারণে তার জীবন দর্শন, কথা-কবিতা এবং সংগ্রামে মানুষের ছবি প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। তিনি গানে গানে বিধৃত করেছেন ‘মানুষের কাছে পেয়েছি যে বাণী তাই দিয়ে রচি গান, মানুষের লাগি ঢেলে দিয়ে যাব মানুষের দেয়া প্রাণ’। এ গানের মধ্য দিয়ে সত্যেন সেন মানুষের অন্তরে চির জাগরুক থাকবেন।


আমরা জানি ব্রিটিশরাজ এদেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য হলেও দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে যায় সাম্প্রদায়িকতার আগুন। যে আগুনে অঙ্গার হয়ে দ্বিখণ্ডিত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। হিন্দু-মুসলিম ভাইয়ে ভাইয়ে দাঙ্গা হয়েছে। দাঙ্গার বিরুদ্ধে মানুষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সত্যেন সেন লিখেছেন, ‘ও যারা দাঙ্গা করে মানুষ মারে/ বুঝে নারে পথের গতি,/ ও যারা দাঙ্গা করে/ সে কি কভু চিন্তা করে/ এটাই আমার দেশের ক্ষতি […]’।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও