তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং নারীর সমতায়ন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য পদ লাভ করে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে ‘প্রযুক্তি’ ‘মনুষ্য’ ‘মর্যাদাপূর্ণ জীবন’ ও ‘সমাজের সুষম বণ্টনের’ ওপর জোর মতামত দেন। আর্থ-সামাজিক জরিপ, আবহাওয়ার তথ্য আদান-প্রদানে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইটের আর্থ-স্টেশন উদ্বোধন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ঘোষণায় বলা হয়, ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশ পরিণত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু কন্যার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে।
দেশে বর্তমানে মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ১৮ কোটির অধিক। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে প্রায় ১৩ কোটি। ই-গভর্নমেন্ট কার্যক্রমে প্রচলিত সেবা প্রদানের পদ্ধতির ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। ডিজিটাল পরিষেবাগুলোর কয়েকটি উদাহরণ হলো– শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নিবন্ধন, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, বিদেশে চাকরির জন্য নিবন্ধন, জন্মনিবন্ধন, অফিসিয়াল ফরম সংগ্রহ, অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়া, অনলাইন টেন্ডারিং ইত্যাদি। অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম দেশের আর্থিক কার্যক্রমকে গতিশীল করেছে।