বৈষম্য কমাতে বিত্তবানদের কি কিছুই করার নেই?

যুগান্তর ড. আর এম দেবনাথ প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২২

বন্ধু-বান্ধব, অতি পরিচিতজন ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে বসলে কত কথা হয়-এর কিছু নিছক গল্প-কাহিনি, কিছু সত্য, কিছু রং মাখানো সত্য কথা। এর মধ্যে আবার থাকে ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা। আড্ডার এসব কথার কোনটা সত্যি, কোনটা কতটুকু সত্যি, কোনটা আসলেই অভিজ্ঞতা-তা বিচার করা অনেক সময়েই কঠিন। বিশেষ করে আজকালকার ব্যবসা-ব্যবসায়ীদের জীবনের কথা।


আমরা মানুষ হয়েছি ছোট একটা পরিবেশে। হলে থাকতাম, দুই বেলা খাওয়ার জন্য লাগত মাত্র ৩০ থেকে ৩৪ টাকা। খাবারে থাকত প্রায়ই এক টুকরা ইলিশ মাছ, পাঁচ-তরকারি ও ডাল। মেস বন্ধ থাকলে মেডিকেল হোস্টেলের পেছনের ‘পপুলারে’ একবেলা মাছ, ভাত, সবজি ও ডাল খেতে লাগত বারো আনা (৭৫ পয়সা), বড়জোর ১ টাকা। ঢাকা শহর? নিউমার্কেট, রমনা, গুলিস্তান, নওয়াবপুর রোড, সদরঘাট ও গেণ্ডারিয়া, ওদিকে আজিমপুর ও লালবাগ, সোয়ারিঘাট।


দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশনে পৌঁছতে লাগত সারাদিন। বাড়ি থেকে আসার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সঙ্গে করে আনতাম চিড়া-মুড়ি আর মায়ের আদর মেশানো নারু। ঢাকা শহর তখন হাঁটার শহর। রিকশা কিছু চলে। রাতে খেয়ে স্টেডিয়ামে যেতাম এক অবাঙালি পানের দোকানে হেঁটে। কোথায় সব বহুতল বিল্ডিং, কোথায় দালানকোঠা? একমাত্র ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ছিল ‘গ্যানিজ ডিপার্টমেন্টাল স্টোর্স’-বর্তমান জিপিওর উল্টোদিকে।


এই ‘স্টোরের’ ওপরই স্যার বিপণনের বিষয়ে ‘টিউটরিয়াল’ দিতেন। ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা তখন কত? ৫-৬ লাখ হবে হয়তো। অভিজাত পাড়া হচ্ছে ওয়ারী, র‌্যাঙ্কিন স্ট্রিট। ধানমণ্ডি গড়ে উঠছে তখন। বাস মানে ছিল ‘মুড়ির টিন’। সদরঘাট থেকে নিউমার্কেট। নতুন রুট হয় মিরপুর ও মোহাম্মদপুর পর্যন্ত। নারায়ণগঞ্জের বাস চলত। ভিক্টোরিয়া পার্ক (বাহাদুর শাহ) ছিল পুরান ঢাকায়। ছিল লালকুঠি। এদিকে রমনা পার্ক, রমনা রেসকোর্স। বাণিজ্যিক পাড়া ছিল মতিঝিল। গুলশান, বনানী হয় হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও