টেলিকম খাতে মধ্যস্বত্বভোগী বৃদ্ধির বিপদ
মোবাইল টেলিকম খাতে ক্রমশ নির্ভরশীলতা বাড়ছে। কথাটি দু'ভাবে বলা যায়। প্রথমত, মোবাইল ফোনের ওপর ব্যবহারকারীদের নির্ভরশীলতা দিন দিন বেশি করে বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, মোবাইল খাতই দিন দিন আরও বেশি করে পরনির্ভরশীল হয়ে উঠছে। এ লেখায় উভয় দিক নিয়েই আলোচনা করব।
প্রথমে আসা যাক মোবাইল ফোনের ওপর নির্ভরশীলতা নিয়ে। এটা এখন আর নতুন বিষয় নয়। আমরা সবাই বুঝি, পাড়ার মুদিখানায়ও এখন মোবাইল ফোনে পণ্যের অর্ডার নিয়ে মালপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়। ই-কমার্স ব্যবসায়ী, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ব্যাংক, বিমান কিংবা ট্রেনের টিকিট, বীমা কিংবা স্কুলের পড়াশোনা- ইন্টারনেটের সব সেবাই এখন মোবাইল ফোননির্ভর। সাম্প্রতিককালে করোনাভাইরাস মহামারিতে ভ্যাকসিন প্রদানে বাংলাদেশ দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে যেখানে 'সুরক্ষা' অ্যাপের মাধ্যমে টিকাপ্রত্যাশীরা নিবন্ধন করতে পেরেছেন। এখন স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম চলছে। সেখানেও আমরা সফলতার মুখ দেখছি।
দেশের প্রতি ১০ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯ জনেরও বেশি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে যোগাযোগ করেন। পকেটে একটি স্মার্টফোন থাকা মানেই দুনিয়া হাতের মুঠোয়। গাড়িতে চলা বা পার্কে হাঁটার সময়ও অনেকে এখন জুম মিটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন। এক ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তা জানালেন, 'কভিড-১৯ মহামারির পর থেকে যখন জুমে বোর্ড মিটিং শুরু হয় তখন থেকে তার ব্যাংকের সব বোর্ড মেম্বারকেই মিটিংয়ে পাওয়া যায়। এটা স্বাভাবিক সময়ে প্রায় অসম্ভব ছিল।'
- ট্যাগ:
- মতামত
- বাংলাদেশে টেলিকম খাত