প্রযুক্তির সুফল রুখে দিচ্ছে সাইবার স্ল্যাকিং

কালের কণ্ঠ ড. মো. নাছিম আখতার প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২১, ০৯:২২

করোনাকালীন বাংলাদেশ ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। নাগরিক সমাজের সব কাজকর্ম এখন প্রযুক্তির সহায়তায় অনলাইনে চলমান। বর্তমান সময়ে ওয়েবিনার, অনলাইন মিটিং বা অনলাইন ক্লাসে একটু লক্ষ করলেই বোঝা যায়, মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা বন্ধ করে অনেক অংশগ্রহণকারী যুক্ত থেকে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকে। বাস্তবে যখন অনলাইন ক্লাস নিয়েছি, তখনকার একটি ঘটনার কথা বলছি—ক্লাস চলাকালীন ছাত্রদের কোনো একটি সংযোগ থেকে নাকডাকার শব্দ আসছে। শব্দ শুনে বুঝলাম অন্য প্রান্তের ছাত্র মাইক্রোফোন অন করেই ঘুমিয়ে পড়েছে। উপায়ান্তর না দেখে অন্য ছাত্রকে বললাম ঘুমন্ত ছাত্রকে ফোন করে জাগাও। অনলাইন ক্লাসগুলোতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যুক্ত হয় ঠিকই, কিন্তু মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা অফ করে শিক্ষকের কথা না শুনে বিভিন্ন গ্রুপে চ্যাট করে। ফলে শিক্ষাঘণ্টা ব্যয় হলেও এর কার্যকরী সুফল পাওয়া খুবই দুরূহ। আমার পর্যবেক্ষণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা না বুঝেই এমন আত্মঘাতীমূলক কর্মকাণ্ড করে, যার কারণে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তারা হতাশ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলাম। নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তিকে নাম উল্লেখ করে কিছু বলার জন্য আমন্ত্রণ করা হলে অন্যদিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না; কিন্তু দেখা যাচ্ছে তিনি অনলাইনে যুক্ত আছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি ওয়েবিনার বা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের ছন্দঃপতন ঘটায়। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলোতে সচেতনতা জরুরি। করোনাকালে সশরীরে উপস্থিত থেকে মিটিং করা যাচ্ছে না বলেই ভার্চুয়াল মিটিংয়ের আয়োজন। এই আয়োজনে যদি সবার আন্তরিকতা ও মনোযোগ না থাকে, তাহলে ভার্চুয়াল মিটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। আবার তথ্য-প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে অফিস সময়ে নিজের দাপ্তরিক কাজ বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত কোনো কাজেও আমরা ব্যস্ত থাকি। ইন্টারনেটের গতি ও সুবিধা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্মার্টফোন হাতের নাগালে থাকায় এ ধরনের কার্যক্রম নিজের অজান্তেই বেড়ে চলেছে। ফলে অফিসে কর্মরত জনগোষ্ঠীর প্রকৃত কর্মঘণ্টা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাচ্ছে। ব্যক্তিগত কাজের মধ্যে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্রাউজিং, নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট ব্রাউজিং, অনলাইন শপিং, অনলাইন গেম ইত্যাদি। এ বিষয়গুলো নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এখন সময়ের দাবি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও