তালেবানের পুনরুত্থান: কী বার্তা দিল জাতিসংঘ
যুক্তরাষ্ট্রের তড়িঘড়ি করে কাবুল ত্যাগ ও তালেবান বাহিনীর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে দীর্ঘ দিনের ক্ষমতা ও রাজনীতির পট পরিবর্তন ঘটে গেল। এ ঘটনাকে শুধু আফগানিস্তানের ক্ষমতার পরিবর্তন হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। আফগানিস্তানে এই অভিযানের সঙ্গে জড়িত ছিল বিশ্বের পরাশক্তিগুলো। সোভিয়েত ইউনিয়নের পর মার্কিন বাহিনীও আফগানিস্তানে একই পরিণতি বরণ করে নিয়েছে।
আপাতত এই ঘটনাকে বিশ্ববাসী হয়তো শুধু পেন্টাগনের পরাজয় হিসেবেই দেখছে। কাবুল থেকে খালি হাতে প্রত্যাবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় যেমন বইছে তেমনি এতদিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও সবাই কথা বলতে শুরু করেছে। নিউক্লিয়ার উইপন, মানবাধিকার, নারী স্বাধীনতা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জাতিগঠন-এই সবই কি তবে দেশে দেশে মার্কিন আগ্রাসনের অজুহাতমাত্র। আফগানিস্তানে জঙ্গি দমনের কথা বলে জাতিগঠনের অজুহাতে দুই দশক ধরে সেখানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে সেই জঙ্গিদের হাতেই আফগানিস্তানকে তুলে দিয়ে কী বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘই বা কী বার্তা দিল।