কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কৃষিঋণ নীতিমালা

দেশ রূপান্তর নিতাই চন্দ্র রায় প্রকাশিত: ০৭ আগস্ট ২০২১, ১১:০৬

গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে কৃষকদের জন্য শতকরা ৪ ভাগ সুদে ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি সব মহলেই বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। উপকৃত হয়েছিলেন দেশের অগণিত কৃষক। যারা করোনার এই কঠিন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্ষেতে-খামারে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়ে বাঁচিয়েছেন আমাদের জীবন। পৃথিবীর অনেক দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিলেও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত খাদ্যের কোনো অভাব হয়নি। গত বোরো মৌসুমেও উৎপাদিত হয়েছে ২ কোটি মেট্রিক টনের বেশি চাল। চাল উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। শুধু চাল কেন? পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। সবজি উৎপাদনে তৃতীয়। ফসলের জাত উদ্ভাবনে প্রথম। আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম। পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম। এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে আমাদের কর্মঠ কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে- এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এ অর্জনকে আরও এগিয়ে নিতে হলে কৃষক ভাইদের উন্নত প্রযুক্তি, পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও সহজে স্বল্পসুদে সময় মতো কৃষিঋণ প্রদান করতে হবে। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুণগত মানের বীজ, সুষম মাত্রায় সার, বালাইনাশক ও সেঁচের কোনো বিকল্প নেই। ফসল ফলাতে হলে কৃষককে এই সব উপকরণ সময়মতো সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু আমাদের কৃষকের হাতে ফসল উৎপাদনের সময় নগদ অর্থ থাকে না। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, এনজিও, আত্মীয়স্বজন, বেসরকারি ব্যাংক ও দাদন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন বেসরকারি উৎস থেকে কৃষক ৮১ শতাংশের বেশি ঋণ গ্রহণ করেন। এই সব ঋণের সুদ ১৯ থেকে ৬৩ শতাংশ পর্যন্ত। দুঃখজনক হলেও সত্য, সরকারি কৃষি ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদে মাত্র ৬ শতাংশ কৃষককে কৃষিঋণ প্রদান করে। করোনা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য শতকরা ৪% সুদে দ্বিতীয় দফায় প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ করেছে সরকার। কৃষকদের জন্য শতকরা ৪ ভাগ সুদে প্রণোদনা তহবিলের ঋণ বিতরণ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেলেও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে তাদের জন্য কোনো প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি। চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ শতাংশ। গত ২৮ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই নীতিমালা ও কর্মসূচির কথা জানানো হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও