ইয়াঙ্গুনের গেরিলারা কি টিকে থাকতে পারে?
প্রতিবছরের ২৭ মার্চ মিয়ানমারে ‘আর্মড ফোর্সেস ডে’ পালিত হয়। উৎসবের মতো থাকে এই উদ্যাপন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে জেনারেল অং সানের নেতৃত্বে জাপানিদের প্রতিরোধপর্ব থেকে এই উদ্যাপনের রেওয়াজ। বামারদের খুব ভরসার জায়গা ছিল ‘তাতমাদৌ’ নামে পরিচিত তাদের সশস্ত্র বাহিনী। সেই বামাররা তাতমাদৌর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছে এখন। কয়েক মাস আগেও যা অকল্পনীয় ছিল। নিশ্চিতভাবে আগামী বছরের ২৭ মার্চের উদ্যাপনে থাকবে বিপুল ভিন্নতা। রেঙ্গুন, মান্দালে কিংবা বাগোর মতো মধ্য মিয়ানমারের শহরগুলোর বাড়িঘরে মানুষ এখন রীতিমতো কান খাড়া রাখে গোলাগুলির শব্দ শুনতে। তাদের নতুন ভালোবাসা গণতন্ত্রপন্থী কিশোর-তরুণদের পিপলস ডিফেন্স ফোর্স বা ‘পিডিএফ’। ধীরে ধীরে গ্রাম-শহর সর্বত্র সর্বাত্মক এক গেরিলা যুদ্ধ ছড়াচ্ছে দেশটিতে। পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা মেলে ১৯৭১-এর মার্চ–পরবর্তী বাংলাদেশের।