বিজেপির সরকার গড়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে মুসলমানেরা আলোচনার কেন্দ্রে এসে পড়েছে। কারণ, দেশভাগের পর থেকে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানেরা কোনো একটি দলের পক্ষে প্রায় উজাড় করে ভোট দিয়েছে।
রাজ্যের ভোটারদের নজিরহীন মেরুকরণের ফলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা এবার কার্যত দুটি দলের দখলে—তৃণমূল আর বিজেপি। একটা আসন পেয়েছে নবজাতক দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এবার বিধানসভায় মুসলমান বিধায়কের সংখ্যা কমেছে।
কারণ, পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেস বা সিপিএমের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। এমনকি মালদহ বা মুর্শিদাবাদের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলা থেকেও ওই দুই দল কোনো প্রার্থীকে জেতাতে পারেনি—অথচ ৭০ বছর ধরে ওই দুই জেলা ছিল কংগ্রেস আর সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি। গত বিধানসভায় মুসলমান বিধায়কের সংখ্যা ছিল ৫৯ (তৃণমূল ৩২, কংগ্রেস ১৮ আর সিপিএম ৯)। এবারের বিধানসভায় মুসলমান বিধায়কের সংখ্যা ৪৪ (একজন আইএসএফের)।
কেন এমন হলো? ২০১৯ সালে রাজ্যে লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির উত্থান এবং এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর রাজ্যজুড়ে ধুন্ধুমার প্রচার মুসলমানদের সন্ত্রস্ত করে তোলে।