করোনাকালে কমিটমেন্ট নিয়ে পথচলা
"মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।"বাঁচার আকুতি কবিগুরুও করেছেন। নশ্বর পৃথিবী! বাঁচা বড়জোর ৭০-৮০ বছর। দেখতে দেখতে কখন যে দুরন্ত শৈশব পেরিয়ে বার্ধক্য জেঁকে বসে আমরা টেরও পাই না। যারা ধনে-জনে সৌভাগ্যবান তারাই অন্যদের তুলনায় একটু সহানুভূতি, সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকেন। অন্যরা কোনোভাবে বিড়বিড় করে কান্নাখেকো জলে গান ধরেন-"দয়াল দিন তো গেলো,সন্ধ্যা হলো,পার করো আমারে"।সবাই মরতে হবে আমাদের; কেউ আগে কেউ বা পরে।কিন্তু আমরা কেউ কি মরতে চাই? না, মোটে ও না। কারো এখনো জীবনের সংজ্ঞা জানা হয়নি। পৃথিবীর রূপ দেখা,অর্থ-বিত্ত, প্রাচুর্য, যশ ভোগ এখনো অনেক কিছু বাকি। সিজোফ্রেনিয়া রোগী, প্রতারিত প্রেম বিরহে কাতর জীবন থেকে পালানো প্রেমিক, রোগ যন্ত্রণা কাতর মৃত্যু পথযাত্রীও মৃত্যু কামনা করে না।সবার মাঝেই আজ একটা রোগের ভয় জেঁকে বসেছে-করোনাভাইরাস? কেউ বলেন--প্রকৃতির প্রতিশোধ, পৃথিবীর ব্যালেন্স। প্রতি শতবর্ষ পরে প্লেটের পরিবর্তনের ফলে এ অবস্থা। এ কারণে আগেও একাধিক সমৃদ্ধ সভ্যতা ধ্বংস হয়েছে। আবার কেউ বলেন, করোনাভাইরাস আমার হবে না, অমুক-তমুকের হবে। আরো কত কি?