বড় যুদ্ধ এড়িয়ে জয়ের ইরানি কৌশল
ইরানিরা তাদের বীর জেনারেলকে হত্যার জন্য ট্রাম্পকে যতই অভিশাপ দিক, একটা ধন্যবাদ ট্রাম্পের পাওনা। ট্রাম্পের কারণেই ইরাকের আরও নিকটজন হয়েছে ইরান। ইরাকে আমেরিকার বেশির ভাগ কাজই বুমেরাং হয়েছে। যেমন জর্জ বুশ ইরাক দখলে নিলেও দেশটির নেতৃত্ব চলে গেছে ইরানপন্থী শিয়া গোষ্ঠীগুলোর কাছে। এদিকে সুলেইমানিকে হত্যা করে তাঁর আরাধ্য কাজ সেরে দিচ্ছেন ট্রাম্প। বর্তমান ও বিগত তিন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যে শয়তান চক্রের (অ্যাক্সিস অব এভিল) ভয় মার্কিন নাগরিকদের দেখাতেন, সুলেইমানির মৃত্যুর বদলায় সেই চক্র এবার সত্যিই সংগঠিত হয়েছে। এক সারিতে আমেরিকার মুখোমুখি ইরান-ইরাক-সিরিয়া-হিজবুল্লাহ এবং তাদের অধীন অজস্র ছোট-বড় যোদ্ধা গোষ্ঠী। মরণেও সুলেইমানি তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মুখস্থ হুমকির বুলি এখন ইরাকের বিরুদ্ধে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। কারণ ইরানের হয়ে ইরাকও এখন তার দেশ থেকে মার্কিন সেনা সরানোর দাবিতে সোচ্চার। ইরাকের পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের পর জার্মানি ইরাক থেকে কিছু সৈন্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।