আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের সবোর্চ্চ ধর্মীয় নেতা, রাষ্ট্রপ্রধান এবং ইরানের এককোটি শিয়া সম্প্রদায়ের আধ্যাত্নিক নেতা। ফোর্বস সাময়িকী ২০১২ সালে তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ২১ জনের মধ্যে স্থান দেয়।

১৯৮১-তে মোহাম্মাদ আলি রাজাজি হত্যার পর একই বছরের অক্টোবরে অণুষ্ঠেয় ইরানের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ব্যাপক ব্যবধানে ধর্মীয় নেতা হিসেবে জয়লাভ করেন। ১৩ অক্টোবর ১৯৮১ থেকে ৩ আগস্ট ১৯৮৯ পর্যন্ত তিনি  রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

১৯৮১-এর জুন মাসে একটি হত্যাচেষ্টার শিকার হন আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সেখান থেকে তিনি বেঁচে গেলেও ডান হাতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। এর পর পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে ফতোয়া জারি করে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করা ইসলাম অণুযায়ী নিষিদ্ধ।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইরানের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির অন্যতম সহায়কারী ও সমর্থক। তিনি অন্যতম প্রথম ধর্মীয় নেতা যারা বিভিন্ন জৈবিক গবেষণা অনুমোদন ও সমর্থন দেন।ব্যক্তিগত জীবনে আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ছয় সন্তানের পিতা।