কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যুবরাজ সিং ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। ছবি: সংগৃহীত

ধোনির ‘নোংরা রাজনীতির’ খবর ফাঁস করবেন যুবরাজের বাবা!

মুশাহিদ মিশু
Writer
প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০১৯, ১৭:১৮
আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯, ১৭:১৮

(প্রিয়.কম) ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেটপ্রেমী, সবার নজর এখন ইংল্যান্ডে। চলমান ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ নিয়েই এই মুহূর্তে বুঁদ হয়ে রয়েছে ক্রিকেট-বিশ্ব। এরই মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন যুবরাজ সিং। গেল ১০ জুন হঠাৎ করেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতের এই তারকা ক্রিকেটার।

যুবরাজের অবসরের রেশ না কাটতেই রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছেন তার বাবা যোগরাজ সিং। সাবেক এই ভারতীয় পেসারের দাবি, ক্রিকেটের নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছেন তার ছেলে যুবরাজ সিং। আর এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন ভারতের সাবেক ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি!

সরাসরি কারো নাম উল্লেখ না করলেও ক্রিকেটারদের নিয়ে ‘নোংরা রাজনীতি’ করা ব্যক্তিটি যে ধোনি, সেটা বেশ ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যোগরাজ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজের বাবা বলেন, ‘আমি কারোর নাম নেব না। গত ১৫ বছর ধরে সে ক্রিকেটারদের সঙ্গে নোংরা রাজনীতি করে যাচ্ছে। ক্রিকেটারদের জীবন কঠিন করে দিয়েছে সে।’

বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর আরও অনেক তথ্য ফাঁস করবেন জানিয়ে ভারতের হয়ে যোগরাজ বলেন, ‘বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হলে সব পরিষ্কার করব। সে এটা আজীবন মনে রাখবে। আমি তাদের মতো না, যারা কিছু না বলেই চুপচাপ সব মেনে নেবে। সব সময় সত্য বলব। আর আমি যখন সত্য বলব, কেউ আমার সামনে এসে দাঁড়ানোর সাহসও পাবে না। আমি তার সম্পর্কে এখন বলতে চাইছি না, কারণ আমি চাই না এ সময়ে (বিশ্বকাপ) আমার কথার জন্য দল কোনো বিপদে পরুক।’

যোগরাজ সিং আরও দাবি করেছেন, শুধু যুবরাজের সঙ্গেই নয়, ভিভিএস লক্ষ্মণ থেকে শুরু করে গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দর শেবাগও নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছেন। তার ভাষ্য, ‘এটা গৌতম গম্ভীরের সঙ্গেও ঘটেছে, বীরেন্দর শেবাগের সঙ্গেও। তারা অসাধারণ খেলোয়াড়। এখন এটা যুবরাজের সঙ্গে ঘটল। ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গেও ঘটেছিল। আমি জানি, এটা কেন হয়েছে। সবকিছুর জন্য একজন ব্যক্তি দায়ী।’

যেকোনো মুহূর্তে অবসরের ঘোষণা দেবেন যুবরাজ—এটা অনেকটা অনুমেয় ছিল। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর্দা ওঠার আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম এই নায়ক। কিন্তু যুবরাজের অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পরই নড়েচড়ে বসে ভারতের ক্রিকেট অঙ্গন।

আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচটি খেলেছেন যুবরাজ। ২০১৭ সালের জুনে উইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ বারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গেছে তাকে। চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আবারও জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন ক্যান্সারজয়ী এই ক্রিকেটার। কিন্তু তাতেও সাফল্য পাননি।

২০১৩ সালের পর থেকেই জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন যুবরাজ সিং। ২০১৭ সালে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু নিয়মিত হতে পারেননি। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অনুমোদিত বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলবেন তিনি।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল