রাজধানীতে রাইড শেয়ারিংয়ের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ছবি: সংগৃহীত

রাইড শেয়ারিংয়ের সুবিধা ও অসুবিধা

জিয়াউল হক
লেখক
প্রকাশিত: ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৮:০৮
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৮:০৮

রাজধানীতে দিন দিন ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে রাইড শেয়ারিং। বর্তমানে ঢাকা শহরে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রাইড শেয়ারিং সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ব্যস্ত নগরীতে অফিসগামী কিংবা জরুরি প্রয়োজনে অল্প সময়ে রাজধানীতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াদের ক্ষেত্রে রাইড শেয়ারিং সেবার জুড়ি নেই। তবে রাইড শেয়ারিং ব্যবহার করতে গিয়ে প্রায়ই যাত্রীদের মুখে অসস্তুস্টির কথাও শোনা যায়। তাহলে জেনে নেয়া যাক:

রাইড শেয়ারিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

ঢাকা শহরে জনপরিবহন এর ভোগান্তি ও ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চালু করা হয় মোটরসাইকেল এর মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং। ঢাকায় প্রাথমিকভাবে ২০১৫ সাল থেকে ‘পাঠাও’ শুরু করে রাইড শেয়ারিং। এর স্বপ্নদ্রষ্টা তিন যুবক হলেন- হুসেইন আল ইলিয়াস,সাফাত আদনান ওফাহিম সালেহ। ২০১৬ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশে চালু হয় ‘উবার’। এরপর আরও কিছু রাইড শেয়ারিং কোম্পানি চালু হয়। এর ফলে যে সকল সুবিধা হয় তাহলো -কম খরচে কম সময়ে গন্তব্যস্থানে পৌছাতে পারে। অটোরিক্সা যেখানে আকাশ ছোঁয়া ভাড়া চায় সেখানে রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে সহজেই যেতে পারছে।

শহরের অফিসগামী চাকরিজীবীদের জন্য আশির্বাদ হয়ে দেখা দেয়। ধীরে ধীরে রাইড শেয়ারিং নগরবাসীর গলার কাটা হয়ে যাচ্ছে। অতি মুনাফার লোভে দ্রুত যাওয়ার চেষ্টা করেন। চলার পথে অন্য গাড়িতে আচঁড় লাগিয়ে দিচ্ছেন। অবৈধভাবে ফুটপাত দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। রাইড শেয়ারিং করে যারা যাচ্ছেন, তাদের মাথায় হেলমেড থাকেনা। বেশি লাভজনক হওয়ায় নতুন মোটরসাইকেল কিনে অনেকে এই পেশায় ফুলটাইম সার্ভিস দিয়ে থাকেন।

তাই এখনই প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করে রাইডারদের অনিয়মের লাগাম টেনে ধরা।

[প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। প্রিয়.কম লেখকের মতাদর্শ ও লেখার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকাশিত মতামতের সঙ্গে প্রিয়.কমের সম্পাদকীয় নীতির মিল না-ও থাকতে পারে।]