মানবতাবিরোধী অপরাধে জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২, মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করে। এনিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রতিবাদ ও জনমত প্রকাশ করা হলো।
শাহবাগে মহাসমাবেশ শুক্রবার
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বাতিল করে ফাঁসির রায়ের দাবিতে জনারণ্যে পরিণত হয়েছে শাহবাগ। বুধবার সন্ধ্যায় শাহবাগ মোড়ে আসা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে এর আশপাশ। এদিকে, সন্ধ্যার পরে ঘরে ফিরে যাওয়া মানুষের উদ্দেশ্যে আন্দোলনকারী নেতারা মাইকে ঘোষণা দেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সমাবেশ শুরু করা হবে।
এ সময় তারা আরও জানান, শুক্রবার টানা চতুর্থদিনের মতো এই কর্মসূচি চলবে। ওইদিন সকাল ৮টায় শাহবাগ মোড়ে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ১০ হাজার ছাত্র ও যুবকের জমায়েত করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে কাদের মোল্লার রায় ঘোষণার পর গুটিকয়েকের স্লোগান বুধবার দ্বিতীয় দিনে হাজার মানুষের চাওয়ায় পরিণত হয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে রাত থেকেই সংহতি প্রকাশ করা শুরু করেছেন বিদগ্ধজনেরা। বুধবার বিকেল থেকেই শাহবাগে বাড়তে থাকে ভিড়। নামতে শুরু করে জনতার ঢল। দেশপ্রেমিক মানুষের গন্তব্য হয়ে দাঁড়ায় শাহবাগ স্কয়ার।
বৃহস্পতিবার বাম মোর্চার বিক্ষোভ
ছয়টি গণহত্যা মামলার মধ্যে পাঁচটিতে দোষী সাব্যস্থ হওয়ার পরও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দিয়ে মাত্র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ। এর প্রতিবাদে এবং কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
বুধবার এক জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেয় বাম মোর্চা। বৃহস্পতিবার সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকায় বিকেল সাড়ে ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশও করবে বাম মোর্চা।
রাজধানীতে আ’লীগের বিক্ষোভ
জামায়াতের ডাকা বুধবারের হরতালের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকে। সকালে মানববন্ধন শেষে মিছিল সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এসব মিছিল করে।কিন্তু হরতাল বিরোধী এ সমাবেশ পরবর্তীতে রায় কেন্দ্রীক সমাবেশে পরিণত হয়। জড়ো হওয়া আওয়ামী নেতাকর্মীরা রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। এসময় তারা কাদের মোল্লার ফাসিঁর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এছাড়া সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোটের উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠন হরতাল বিরোধী ও রায় বিরোধী মানববন্ধন করছে। এ মানববন্ধনে অংশ নেয় যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, ওলামা লীগ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ঢাকা সড়ক পরিবহন লীগ, নাগরিক সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হকার্স লীগ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদসহ সমমনা সংগঠন।
বরিশালে যুবলীগের বিক্ষোভ
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে যুবলীগ। জেলা ও মহানগর যুবলীগের আয়োজনে বুধবার দুপুরে নগরীর সোহেল চত্তর দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে বক্তৃতা করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুল করিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সেরনিয়াবাত সাদেক আব্দুল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম।
আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম:
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবায়লয়ে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এ হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, "এ রায়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমরাও এতে হতাশ।"
Anu Muhammad:
ওদের অপরাধের জন্য যথেষ্ট শাস্তি পৃথিবীতে এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু অপরাধীর অপরাধের ভয়াবহতা ও তার প্রতি মানুষের ঘৃণার অভিব্যক্তি ছাড়া ন্যায়বিচার কী করে হয়? শুধু এই রায় দেখে নয়, মানুষ ক্ষুব্ধ কারণ এটি একটি লক্ষণ উপস্থিত করছে। সাথে গত কয়েকদিনের ঘটনাবলী। পর্দার পেছনে নানাধরনের নড়াচাড়া বোঝা যায়। অপোষ, সমঝোতা? ১৯৯৫ এর পুনরাবৃত্তি?
Triesha Samira:
আমাদের দেশটা কে বাচানোর মতো কেউ কি নেই ?
সৈয়দ শহিদুল হক..আজ তিনি ATN NEWS কে যা বললেন তা যদি কেও শুনে থাকেন লজ্জায় আপনার মাথা হেট হয়ে যেতে বাধ্য...তিনি এই কাদের মোল্লার মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন, আজ তিনি হতাশ হয়ে LIVE অনুষ্ঠানে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন "আমি দেশের সবাইকে বলছি আমি যদি মারা যাই এই দেশে আমায় মাটি দিওনা, আমাকে Sweden এ নিয়ে যেও.. এত কষ্ট করে এত দূর থেকে এসে যার বিপক্ষে সাক্ষী দিলাম তার রায় আজ যাবজ্জীবন! আমি জানি জামায়াতের অন্যতম টার্গেট আমি, হয়তো দেখবেন আমার লাশ এই বাংলার কোথাও পরে আছে সেদিন আমাকে তোমরা এই বাংলায় মাটি দিওনা"
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কতটা কষ্ট পেলে এই কথা বলতে পারেন... আমি আজ নিজেকে থু দেই, কারন আমি এই দেশে জন্মেছি... মাফ করবেন।
কাদের মোল্লার রায় নিয়ে এটর্নি জেনারেলের বক্তব্য: (ভিডিও)
[video:http://www.youtube.com/watch?v=PQlcnUjb3YY]
Anwar Akash:
বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনাদের সৌভাগ্য যে আজ জাহানারা ইমাম বেঁচে নেই...জনতার আদালতে এ বিচারের রায় অনেক আগেই হয়েছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অন্যায়কারীকে সাজা দেবার জন্য....সর্বস্তরের মানুষ বলছে কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধী... আমরা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ থেকে এ রায় এর বিপক্ষে আপিল করছি... কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়া হোক...
Ra-zib Hhaassaann:
২৫ মার্চ ১৯৭১ থেকে আজ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২
এই ১৫,২৯৩ দিন, অদ্ভুত ব্যাথার ইতিহাস
নিঃশ্বাস নেয়া যাচ্ছেনা।
Omi Azad
যাদের জন্য ঘর ছেড়ে আমার বাবা নয়মাস জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এদেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধ লড়েছে, তার বাবাকে হারিয়েছে; আজ তাদের বিচারে আমি লজ্জিত। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে লজ্জিত!!
Alim Al Razy
কেবল বেখসুর খালাস দিলে বাদি আপিল করতে পারতো। কিন্তু এখন আর শাস্থি বাড়ানোর জন্য আপিলের কোনো সুযোগ নেই। বরং আরেকটা ঘটনা ঘটার সম্ভবনা আছে। জামায়াতের আপিলের কারণে আদালত ফুলের ন্যায় নিষ্পাপ কাদের মোল্লাকে বেখসুর খালাস দিয়ে দিতে পারে।
সো, যারা ভাবছেন আপিল হবে, আবার ফাঁসির রায় হবে তাঁরা বসে বসে মুড়ি চিবান।
Akramul Hoque Samim
এইটা কী হইলো! কেমন রায় হইলো! যে লোকটা একাত্তরের কর্মকাণ্ডের জন্য কসাই নামে পরিচিতি পেয়েছে তার রায় হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড! অথচ আদালত রায়েই বললো, কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মোট ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মধ্যে ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
Sukanta Parthib
"এ রায় মেনে নেয়া যায় না, এতো মহাঅপরাধ করেও একসাথে ৩৪৪ জনকে হত্যা করেও কাদের মোল্লা'র শাস্তি মাত্র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড!!!
আর, বাচ্চু রাজাকারের হলো মৃত্যুদণ্ড????
এ কেমন রায়?????? প্রতাখ্যান করলাম, মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত ছিলো কাদের মোল্লাকে।
Daud Hossain Rony
এই বিচারের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রকাশ করলাম।
বাচ্চু রাজাকার যদি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়, কসাই কাদেরের হাজারবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত।
আসুন, আমরা পাল্টা 'কর্মসূচী'/'হরতাল' দেই।
Sobak Pakhi
আজ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে চিন্তা ভাবনা বন্ধ। তার বিরুদ্ধে আনা প্রায় সকল অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পরও যে দেশের বিচারকরা রাজাকারের ফাঁসির রায় দিতে পারে না, সে দেশটাকে বড্ড অচেনা মনে হয়। এ কষ্টের কোন বর্ণনা হয় না। এ বিচার আমি মানি না, ত্রিশ লক্ষ শহীদে প্রাণ মানে না, লাখ লাখ নির্যাতিত মা বোনের আত্মা মানে না। কেউ মানবে না, কেউ না!
Babu Ahmed
এই রায় মানি না। মানবো না। ৩০লক্ষ শহীদের আত্মা কাদবে এই রায় শুনে। এই রায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বিশ্বাঘাতকতা।
"কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, ছাত্র ও আইনজীবীসহ আরো অনেককে হত্যার মোট ৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মধ্যে ৫টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।এসব অপরাধের দুইটিতে তাকে যাবজ্জীবন কারদ- ও তিনটি অপরাধে ১৫ বছরের সাজা দেওয়া হলো বলে মামলার রায়ে উল্লেখ করা হয়। "
একটা হত্যার জন্যই যেখানে ফাসী দেয়া যায় বিচারে সেইখানে এই কুত্তার বাচ্চার বিরুদ্ধে এতোগুলা হত্যার অভিযোগ এবং অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার পরেও ক্যানো তারে যাবজ্জীবন দেয়া হৈলো? বাচ্চু'র ছিলো শুধুই গণহত্যা, তারে যদি ফাসী দেয়া যায় তাইলে এই জারজটার বিরুদ্ধে গণহত্যার সাথেও বুদ্ধিজীবী+ছাত্র+আইনজীবী হত্যার অভিযোগ আছে। দুইটারে মিলাইলেও তো কমনসেন্সে বাচ্চু রাজাকারের একবার ফাসী হৈলে কাদের মোল্লার তিনবার ফাসী দেয়া উচিত। তাইলে???
তাইলে কি ধইরা নেবো, আবার কোন আপোষ হৈতেছে? বাচ্চু দ্যাশে নাই, তার ফাসীর রায় হওয়ার পরেও আমরা উল্লাস করছি যে অন্তত একটা রায় পাওয়া গ্যাছে। কিন্তু যেইগুলা হাতের কাছে আছে সেইগুলারে এখন যাবজ্জীবন এর রায়???? বাচ্চু রাজাকারের রায় নিয়া হতাশা প্রকাশ কড়ায় ফেসবুক এর আওয়ামী নেতারা অনেকরেই চীনাবাদাম,ছাগু ট্যাগ দিছে, দেখছি। কিন্তু এখন?
না, প্লিজ। এই রায় ফিরাইয়া নেন। কোন যাবজ্জীবন মানি না, কোন ১৫বছরের সাজা মানি না। দেশের জেলগুলায় জায়গা নাই। তারউপরে আবার এইসব আগাছা যেইখানেই রাখা হইবো, সেইখানেই আরো আগাছার জন্ম হইবো। প্লিজ, কসাই কাদের এর ফাসি দেন।
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনা ৬টি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, কবি মেহেরুন্নেছাসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, পল্লবীর আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা, আইনজীবী-সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবসহ সাত জনকে হত্যা, কেরাণীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও ঘাটারচরসহ পাশের আরো দু’টি গ্রামের অসংখ্য লোককে হত্যার ঘটনা।
এর মধ্যে ঘাটের চরের ঘটনা ছাড়া বাকি সবকটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলেই রায়ে বলা হয়েছে।

রায়ের পর ভি-চিহ্ন: কাদের মোল্লা
Faisal Hasan Sondhy
যাবজ্জীবন!!!!!! এটা মানে কী??? বাকী জীবন অনিরাপদ ঢাকার অসহ্য যানজট-কোলাহল থেকে দূরে, লোড শেডিং মুক্ত, গ্যাস পানির সমস্যা মুক্ত সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানায় স্পেশাল ডিভিশনে সারা দিন আরামে বসে খাওয়া দাওয়া করা... বাকী জীবন বাড়ি ভাড়াও লাগবে না, খাওয়া-দাওয়ার খরচ মাফ... সন্ত্রাসী, ডাকাত, ছিনতাইকারী সবার থেকে নিরাপদে থাকা যাবে... অভিনন্দন কাদের মোল্লা... সময় পাইলে জেলখানার আরাম আয়েশের জীবনে একখান কেএফসি (কাদের ফ্রায়েড চিকেন) খুলে বইসেন... একাত্তরের মত দেশ সেবা অব্যাহত রাখবেন আশা রাখি... :(
PriTom AhmEd
একই রকম মামলায় আসামী দেশে না থাকলে ফাঁসি আর দেশে থাকলে যাবজ্জীবন। সবকিছুতেই রাজনীতি ???
Badol Khan
এই রায় মানি না
মানবো না
মানতে পারি না...
এতো দিন তো সবাই আশায় ছিলো বিচার হবে
সেই আশাটুকু তো এই রায়ের ফলে বন্ধ হয়ে গেল...
এই রায় স্বপ্নেও আশা আমি করি নাই....
Rumana Baishakhi:
এই দেশের নাম কি?
- বাংলাস্তান
জাতীয় ভাষা কি?
- উর্দু
জাতীয় কশাই কে?
-কাদের মোল্লা
জাতীয় মেশিন ম্যানের নাম কি?
-সাইদি হুজুর
কতিপয় বীর শ্রেষ্ঠের নাম লিখো-
- কাদের মোল্লা, গোলাম আজম, সাইদী, মুজাহিদ, নিজামী প্রমুখ।
-সেই দিন দূরে না, যখন স্কুলের পাঠ্য পুস্তকে বাচ্চারা এইসব পড়বে। বেশি না, আর কেবল কয়েক মাসের অপেক্ষা। আমার ভয়ঙ্করতম দুঃস্বপ্ন এটাই।
হতাশা কত প্রবল হলে মানুষ কান্না করে, সেইটা আজকে নিজেকে দিয়ে বুঝলাম। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, সকাল থেকে ২/৩ বার চেষ্টা করেও এখনও কিছু মুখে দিতে পারিনি। প্রথমে উত্তেজনায়, পরে কষ্টে... স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্ট এতো মারাত্মক!

ছুটা বুয়া সান্ত্বনা দিলো- "আনটি কাইন্দেন না। ফাঁশি দিল মানে তো হারামিটা মইরেই গেলো। এইটারে বাচায় রাইখ্যা জেলে পচানির কাম। একলা একলা জেলে পইচে মরুক।"
বুয়ার সাথে ফাঁসির রায়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তর্কে না গিয়ে প্রশ্ন করলাম-" বুয়া, আপনি কি চান রাজাকাররা মরুক? "
বুয়ার জবাব- "মরুক মানে!! পুকা পইরে পইরে মরুক।" (তারপর কিছু গালি)
এখানে বিস্ময়কর ব্যাপারটুকু কি জানেন?
এই বুয়ার বাবা একজন পাকিস্তানী। যুদ্ধের অনেক আগে সেই পাকিস্তানী খান বুয়ার মাকে বিবাহ করে, সন্তানাদি হয়, এবং ৭১ সালে সেই লোক পাকিস্তানের সপক্ষে যুদ্ধে যাচ্ছে বলে ফেরারি হয়।
একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নারী, যিনি কিনা অশিক্ষিত আর পেশায় কাজের বুয়া... তিনিও রাজাকারদের মৃত্যুদণ্ড চান। অথচ...
আশা ভেঙ্গেছে সত্য। কিন্তু মন ভাঙেনি। কিংবা কমেনি ৭১ এর ঘাতক দালালদের প্রতি এতটুকু ঘৃণা। একজন বাংলাদেশী এত তুচ্ছ কোনও বস্তু নয় যে এতো সহজে হেরে যাবে... যুদ্ধে প্রতিপক্ষের সাময়িক বিজয় হতেই পারে। কিন্তু তারমানে এটা নয় যে আমরা হার মেনে নিবো। কক্ষনো কক্ষনো কক্ষনো না... সরকার যদি রাজাকারদের বেকসুর খালাস দেয়, তাও না।
নিজের মাঝের যে ঘৃণা আর হতাশাকে মরতে দিয়েন না কেউ। এই ঘৃণার প্রাচীরের সামনে প্রহসনের রায় হোক কিংবা রাজাকার-জামা-শিবিরদের অস্তিত্ব... কোনটাই যেন টিকতে না পারে, এতটাই দৃঢ় আর অসীম হোক এই প্রাচীর। আমি আপনি আমাদের ঘৃণার প্রাচীর, প্রতিবাদের প্রাচীর। আমাদের আওয়াজে বাধ্য হোক সরকার ফাঁসির রায় দিতে ও কার্যকর করতে।
আপনি হেরে গেলেন তো, বাংলাদেশ হেরে গেলো। কারণ আপনাকে দিয়েই তৈরি বাংলাদেশ। আপনি আমি আমরা কি দিবো বাংলাদেশকে হারতে?

শাহবাগে প্রতিবাদ
Afm Ahkam Ullah Amal:
Juddhaporadhir bichar dabite amra Jara joubon katiyechi- r ekti muktijuddho amader jonno onibarjo......
Akku Chowdhury:
The Bastards must pay for the crimes in 1971 and it is DEATH we want.....I AM ANGRY and want to know who is making a deal with whom? we shall fight to the last man/woman and we shall take NO PRISONERS this time.....we are ready...they have called a civil war so what....we shall fight till the last drop of blood but no compromise with killers rapist looter and Razakars of 1971....JOI BANGLA JOI MANUSH
Mahay Alam Khan:
বহুদিন এতটা সময় নিয়ে টেলিভিশন দেখিনি। বহুদিন একসাথে এতটা সময় নষ্ট হয়নি। বহুদিন পরে এতটা আশা ভঙ্গ হল।
Supriti Dhar:
...হত্যাকারীর বিচার যাবজ্জীবন হতে পারে না....কাজেই যারা এই বিচারের রায় মানতে পারছেন না, প্লিজ, ঘরে বসে থাকবেন না। নেমে আসুন রাস্তায়। আমরা যাচ্ছি সাড়ে ৩টায়, প্রেসক্লাবের সামনে। আপনিও আসুন। (বি.দ্র. এটা কোনো দলীয় কর্মসূচি না, সম্পূর্ণ নিজের তাগিদে)
Md. Anwarul Kabir:
দার্শনিক লেখক নীরোদ চন্দ্র চৌধুরী বাঙালী চরিত্র বিশ্লেষণ করে বিশেষিত করেছিলেন আত্মঘাতি হিসেবে। 'আত্মঘাতি বাঙালী' শিরোনামে তাঁর বহুল আলোচিত একটি গ্রন্থও রয়েছে। আপাতঃদৃষ্টিতে তার এ উপলব্ধি বিলেতবাসী এক 'সাহেব বাঙালী'-র উন্নাসিকতা মনে হলেও বাঙালী যে সত্যিসত্যিই আত্মঘাতি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তা না হলে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় সাড়ে তিন বৎসরের মাথায় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধুকে এই বাঙালীরাই বা হত্যা করে কেন! কেন হত্যা করা হয় আমাদের অর্জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমূহকে।
নীরোদ বাবু বাঙালীকে বলেছিলেন আত্মঘাতি। আমি বলবো ঘিনপীতহীন বাঙালী-- 'বাঙালী যে বর্তনে হাগে, সেই বর্তনেই খায়' তা না হলে একাত্তরের চিহ্নিত সেইসব নরকের কীট, যারা মানবতা বিরোধী হত্যাকান্ডে লিপ্ত ছিল তাদেরই পালের গোদা কুখ্যাত মতিউর রহমান নিজামী, আল মুজাহিদী কিভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রী হিসেবে জাতীয় পতাকাবাহী গাড়িতে ঘোরাফেরা করেছে নির্দ্বিধায়। এই বাঙালীরাই ভোট দিয়ে তাদেরকে জনপ্রতিনিধি করেছে। আজ বাস্তব সত্য, জামাতী ইসলামি একটি শক্তিশালী দল এবং এর কিছুটা হলেও গণভিত্তি রয়েছে-- গতকাল জামাতের সাধারণ সভায় মিছিলে মিছিলে যারা যুদ্ধোপরাধীদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার ছিল তারাও তো বাঙালী ।
আশংকা হচ্ছে দেশ কি চলে যাচ্ছে অন্ধকার থেকে অন্ধকার কালোগহ্বরে। নরপশু কাদের মোল্লার মামলায় মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনাল কতৃক ঘোষিত রায় কিসের আলামত বহন করে?
হায়রে স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি ... কোথায় আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা !!
Arzu Zahidul Amin:
ফাঁসির জন্য আর কতো খুনের দরকার ছিলো?
Md. Mostafizur Rahman:
Is AL playing a very dirty political game?
Sazzad Qadir:
যত গর্জে...
Sirajul Hossain:
আদালতের উপর বিশ্বাস রাখুন - তারা নিশ্চই সাক্ষী-প্রমাণ দেখেই রায় দিয়েছেন।
Md Fazle Rabby Chowdhury:
খুব খুশি হইলাম ।। আসেন এখন বাল ছিরি ।।
Sabrina Sultana Chowdhury:
হায় বাংলাদেশ !! হায় মুক্তিযুদ্ধ !!
Birendra Adhikary:
এ কেমন খেল রাজাকারের হরতাল
খেলা নয়, আমি যুদ্ধ ভালবাসি
আমাকে বন্দুক কিংবা নেহাত একটা তরবারি দাও
আমি আবার যুদ্ধে যাব, ওদের রক্তে হোলি খেলব
‘৭১-এর বর্বরতার প্রতিশোধ নেব
আমাকে সুযোগ দাও, নইলে আমি তোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব ....
Jahidul Islam:
Prime Minister Shaikh Hasina, we clearlly saying you that this verdict completely against our nation, country and civilization. Against our Sensitive. This Qader Mollah was done every crimes in our beloved Liberation War. Your Govt. totally failure to give a perfect justice. I ashame behalf of our 3 million Martyr.
Musfiq Sazal:
রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেবে কিনা আশংকা করতাছি......... বাচ্চুর ফাঁসির রায় দিছে, ওইটা তো পালাইছে। এইটা আটকা আছে এটাকে দিছে যাবজ্জীবন , লাভ কি? সরকার পরিবর্তন হইলে তো জেলের তালা ভাইঙ্গা বাহির হইবে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল ------ তোমার প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি, তোমার আত্মার শান্তি কামনা করছি। বিচারকরা কাজ করতে পারে, দেশের সবাইকে ফাঁসি দিতে পারে এবং সকল রাজাকারদের মুক্তি দিতে পারে। ট্রল যখন করতাছে ভালমত করুক।
Ershad Rahman Falgun:
আমরা ভুল system এর মধ্যে থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত আশা করি। পরিনাম হিসাবে হতাশাই আমাদের প্রাপ্য।
Ataur Rahman Kabul:
অবশেষে অনেকের মত আমিও বিশ্বাস করলাম- কথিত বাচ্চু রাজাকারকে সরকারের তত্বাবধানেই বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেছেন, বাচ্চুর অবস্থান সম্পর্কে সরকার অবগত। অথচ এই বাচ্চুর রায় হলো ফাঁসি...! অপরদিকে যুদ্ধপরাধের অভিযোগে কাদের মোল্লা জেল খানায় বন্দি। তাকে ফাঁসি দিলে রায় বাস্তবায়ন করতে হবে, এটা সরকারের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই রিষ্ক তারা নিতে চায় না....
তার মানে দাড়াল, হয় সরকার জামাতের সাথে সমঝোতায় আসছে (পুলিশকে জামাত শিবিরের ইতোমধ্যে বাশ দিয়ে ফুল দেওয়ার ঘটনাই সে কথা বলে) অথবা সরকার জামাতকে ভয় পাইছে....!!!
এক নেতা বলেছেন, আওয়ামীলীগ হলো এমন এক জিনিস, লাঠি নিয়ে ঘুরে দাড়ালেই যাদের আর খুজে পাওয়া যায় না। আমরাও দেখছি তাই....
Safia Nayla Shuvra:
আওয়ামী লিগ খুব ভালো করেই জানে, কিভাবে নিজেদের পাছাটা বাঁচাতে হয়। লিগ জানে, তারা কাদেরের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা না করলেও জনগণ ঠিকই করবে। ধর্মকে ব্যবহার আর তোষণকারী কথিত এই অসাম্প্রদায়িক দলটি জানে, জামায়াতের আহুত গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে আর্মি ব্যবহার করা যাবে না, করলে সেটা লিগের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না অন্যদিকে কাদের কসাইয়ের ফাঁসি কার্যকর করলে এই পুলিশ দিয়ে জামায়াতকে ঠেকানো যাবে না আর না পারলে সেটা লিগের জন্য বুমেরাং হবে। আর তা যদি হয় তাহলে জনগণ আওয়ামী লিগকে ক্ষমা করবে না। এতোদিন তাও সরকারের জনস্বার্থবিহীন নানা সিদ্ধান্তে মানুষের নিত্য জীবন দূর্বিষহ ছিল কিন্তু তাও মানুষ জীবন-যাপনের মান উন্নয়নের জন্য সরকারের কিছু প্রচেষ্টাসহ যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে এই সরকারের দিকে টিমটিমে আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু এই মেরুদন্ডহীন সরকার ১৬ কোটি মানুষের সবচেয়ে সংবেদনশীল জায়গাটি নিয়ে জাস্ট খেলা করে ছুঁড়ে ফেলে দিল !!! এখন কি সরকার আপীল করে নিজেদের অন্য সুবিধাজনক সময়ে, যখন নাকি ক্ষমতা হারানোর ভয় থাকবে না বা বিরূপ পরিস্থিতির দায়ভার নিতে হবে না- তখন এর ন্যায্য বিচারের ব্যবস্থা বা দাবী করবে ?
প্রকৃতপক্ষে বিএনপির চেয়েও ভন্ড এই লীগ। যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান অন্তত পরিস্কার যে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না এবং এই আবেগ নিয়ে তারা নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক ফায়দা লোটে নি কিন্তু আওয়ামী লিগ যা করলো, এটা কোনো নির্বোধ মানুষের পক্ষেও মেনে নেওয়া সম্ভব না। কিন্তু তারপরও আমাদের নির্বোধ জনগণের শিক্ষা হয় না। লীগ জানে- মুক্তিযুদ্ধে নের্তৃত্ব প্রদানকারী এই দলটির যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীর ব্যাপারে গনমানুষের কাছে লীগের বিকল্প কখনোই বিএনপি হবে না, ঘুরে ফিরে তাদের কাছেই যেতে হবে, সুতরাং তারা বারবারই এটা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে থাকবে। কারণ, জনগণের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। আর এভাবেই মানুষের আকাংক্ষার প্রতিটি মুহুর্ত বলাৎকার চলতে থাকবে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের দেশপ্রেম, মানবতাবোধ, জবাবদিহীতা, গনতান্ত্রিকতা কিছুই গড়ে ওঠে নি। তবে এর দায় কেবল আওয়ামী লিগ আর বিএনপির নয় বরং কথিত সকল দেশপ্রেমিক মিডিয়া, সুশীল সমাজ, বাম রাজনৈতিক শক্তির বিকল্প হিসেবে গড়ে উঠতে না পারার ব্যর্থতা এবং নিরুত্তাপ জনগণ।
ওহ !!! যখন এই স্ট্যাটাসটি লিখছিলাম,জামায়াত তখন লোক দেখানো আরেকটি হরতাল আগামীকাল ডেকে ফেলেছে। আপোষ তো আগেই রফা হয়েছে, নাকি?
Proshanta Roy:
আওয়ামীলীগ............ পতন শুরু
নতুন প্রজন্ম এখন কাকে ভোট দিবে? কেউ তো রইল না....
Zikrul Ahsan:
রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসির চাইতে যাবজ্জীবনেন রায়ই আওয়ামীলীগের জন্যে ভালো। এতে তাদের পরবর্তী নির্বাচনে ভোট চাইতে শুবিধা হবে। আমরা আরো বছরখানেক আগে থেকেই এরকম একটা রায়ের অনুমার করছিলাম।
আবার প্রমাণিত হল। আমরা আসলেই আম জনতা।
Shykh Seraj
পৃথিবীতে সত্য-মিথ্যার জয়-পরাজয় সবসময়ই ছিল। মিথ্যার জয় মানেই মানবতার অবক্ষয়। ক্ষয়িষ্ণু এই গোলক-ধাঁধায় আমরা। যুগ যুগ ধরে এমনিভাবে চলে আসা অনাচারগুলো দৃঢ় রুপ ধারণ করছে। এই রায় আমাকে আবারও মনে করিয়ে দিল কতটা দুর্বল আমরা। কতটা অসহায় মানবজাতি। কতটা অসহায় বাংলাদেশ!
Tanzil Remon
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ধারাবাহিক রায়...
প্রথম রায় : বাচ্চুকে দিছে ফাঁসি, খুব পায় হাসি। কারণ এই ব্যক্তি দেশে নাই। ফাঁসি দিলেই কী আর শুলে চড়াইলেই কী!
দ্বিতীয় রায় : মোল্লাকে দিছে যাবজ্জীবন। ছয় মাস পরে যদি সরকার পরিবর্তন হয়, সেদিন রাতেই ফুলের মালা গলায় দিয়ে বের হবে।
তৃতীয় রায় : সাঈদী ৬ বছরের জেল এবং দশ লাখ টাকা জরিমানা!
চতুর্থ রায় : নিজামীর ২ বছরের জেল এবং কিছু টাকা জরিমানা!
পঞ্চম রায় : গোলাম আযমকে খালাশ! হয়রানি করার জন্য অমুক ও তমুককে কারণ দর্শানোর নোটিশ!!
ষষ্ঠ রায় : যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ আনায় মুক্তিযোদ্ধাকে জরিমানা!!!
Mastuara Rahman Suptotthita
আমাদের হৃদয় ক্ষতে রক্ত ঝরে
পতাকা তোমার লাল কি তবে ফিকে হয়ে যাবে?
এই বাংলায়, এই বাঙ্গালির
Tansu Silar Khan
আমাদের এই দেশ যেখানে রাজাকার কে ফাসী দেয়া হয় না......
আমাদের এই দেশ যেখানে ফাসীর আসামী কে রাষ্ট্রপতি কতৃক ক্ষমা করা হয়!!
এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি.........
ARCHITA MITRA
আমি হতাশ। এটা কেমন রায়? এই রায় শোনার জন্য আমরা ৪২ টা বছর অপেক্ষা করেছি? সকাল থেকে প্রতিক্ষায় ছিলাম জন্মদিন এ সেরা উপহার টা পাব বলে কিন্তু এটা কি পেলাম? এখন মনে হচ্ছে রাজাকারদের-ই জয় হল!! :-@ :-@
এভাবেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রায় চলবে...
আলুব্দী গ্রামের গণহত্যা ঘটনার অন্যতম সাক্ষী আমির হোসেন মোল্লা
‘আমাদের মনে হচ্ছে, এ রায় প্রভাবিত। আমরা এ রায় মানি না। আমরা উচ্চ আদালতে কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়ে আপিল করব।’
পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে আহত আইয়ুব নবী বলেন
‘গুলি খাওয়ার পরও বেঁচে গেছি। আশা ছিল, নরঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসি হবে। আমাদের ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিলেন, এতে অপরাধের প্রকৃত শাস্তি হয়নি।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজীব মোমেন বলেন
‘আমরা এই রায়ে হতাশ হয়েছি। আমরা আশা করেছিলাম কাদের মোল্লা নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।’
Masud Anwar:
আব্বা তোমার মুত্যুতে আমি কাদি নাই! আজ কাদছি এই রায়ের দুঃখে হতাশায় কাদছি.... যে স্বপ্ন নিয়ে তুমি যুদ্ধে গেছিলা... তা তো পূরন হয়ই নাই, বরং আরো বেশি কালিমা লেপন করা হচ্ছে। আব্বা মাফ করে দিও!
Farzana Kabir Khan Snigdha:
শেখ হাসিনার জন্য স্বজন হারানোর মাস হলো ১৯৭৫' সাল। তিনি তো ১৯৭১' এ স্বজন হারাননি। নিজের পিতার আর পরিবারের খুনীদের ফাঁসি ঠিকই দিয়েছেন তিনি। তাই যারা ৭১'এ স্বজন হারিয়েছে তাদের নিয়ে তার কোনো মাথা ব্যাথা বা অনুভূতি নাই। থাকলে রাজাকারের সন্তানের সঙ্গে নিজের একমাত্র কন্যার বিয়ে দিতেন না তিনি।
যারা বলেন, রাজাকারের ছেলে তো রাজাকার নয়; তারা আসলে অন্ধ আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন বলে এই কথা বলে নিজেদের শান্তনা দেন।
মনে মনে আপনি, আমি, আমরা সবাই জানি, রাজাকারের সন্তান রাজাকারই হয়। দেশের জন্য তাদের কোন অনুভূতি নাই।
কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় না হয়ে যাবজ্জীবনের রায় আসলে ম্যাডামের রাজনৈতিক আত্মীয়তার কথা আবার মনে করিয়ে দেয়।
একাত্তরের কর্মী কাজল আবদুল্লাহ বলেন
‘কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন রায় যথাযথ নয় বলে আমরা মনে করছি। আমরা চাই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হোক। কাদের মোল্লার ফাঁসি হোক।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন
আজ দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে দাঁড়িয়েছি। কারণ আমাদের জন্য আজকের দিনটি বেদনার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল এই সংসদে। এ বিচার বানচাল করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। জাতীয়ভাবে জামায়াতে ইসলামী নাশকতা চালাচ্ছে। পরে বিএনপি তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেছে। জামায়াত বলেছে, কোনো ধরনের ক্যাপিটাল জাজমেন্ট (মৃত্যুদণ্ড) হলে দেশে গৃহযুদ্ধ হবে।
রাজিউর রহমান:
শাহবাগ থেকে মাত্র আসলাম। দুইটা ঘটনা শেয়ার না করলেই না।
বন্ধ রাস্তায় বাইক ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছিলো। সেরকম একটা বাইক বাধা দিলে আরোহী আমাকে জিজ্ঞেস করলো এখানে কি হচ্ছে? তাকে বলার পর সে বাইক স্ট্যান্ড করিয়ে নিজেই রাস্তায় বসে পড়লো।
আর একজন ছাত্র আমাকে জিজ্ঞেস করলো, 'ভাই, বাস চলতে দেবেন না এদিকে?' আমি বললাম, 'না।' সে তখন আপন মনে বললো, 'কমলাপুর টিউশনি ছিলো....আচ্ছা আজ টিউশনিতে যাবো না, এখানে থাকবো।' তাকে যখন শেষ দেখেছিলাম তখন সে একটা মশাল জ্বালাচ্ছিলো।
সাধারণ মানুষ সবসময়ই রাজাকারের ফাঁসীর পক্ষে। তারা শুধু কোনো প্ল্যাটফর্ম পায় না তাদের দাবী জানানোর। আজ যে আন্দোলন শুরু হয়েছে আশা করছি এই সাধারণ মানুষের চাপেই পুনর্বিচার করতে বাধ্য হবে ট্রাইব্যুনাল। আর সে রায় ফাঁসী ভিন্ন অন্য কিছু নয়।
জয় বাংলা!
শাবাশ ট্রাইব্যুনাল! শাবাশ বিচারপতি!!
-- লুৎফর রহমান রিটন
----------------------------
রেপ করেছ? ভয় নাই!
খুব অপরাধ হয় নাই।
খুন করেছ? আচ্ছা।
তুমিই বাঘের বাচ্চা!
তোমার বিচার করব
তোমায় জেলে ভরব!
আদালতের রায়—
তোমার পক্ষে যায়!
আমজনতা যতই চেঁচাও নইতো পেরেশান
এই বিচারের মানটা হলো আন্তর্জাতিক মান!
তিন শতাধিক খুন করেছ? তাতে কী যায় আসে!
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে ঘাতক-খুনী হাসে!
তিরিশ লক্ষ শহীদ কাঁদলে কী আর এমন ক্ষতি?
শাবাশ শাবাশ ট্রাইব্যুনাল আর শাবাশ বিচারপতি!
Hillol Haque:
BAL, তুই বড় রাজাকার!
Mustakim Ahmed Sunny:
ফেইসবুকে একজনের কাছ থেকে জানতে পেরেই শাহবাগের উদ্দ্যেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। পকেটে সম্বল ২টাকার একটা ছেঁড়া নোট। আম্মুকে না বলেই বের হয়েছি।
সাইন্স ল্যাব পর্যন্ত যাওয়ার পরেই হঠাত পুলিশ ল্যাব এইডের ভিতর ঢুকিয়ে দিল। এক গেইট দিয়ে ঢুকে দেরি না করেই আরেক গেইট দিয়ে বের হয়ে আসলাম। যাওয়া লাগবে খুব তাড়াতাড়ি।
সাইন্স ল্যাবের মোড়ে যেতেই হঠাত এক রিকশাচাল্ক পিছন থেকে ডাক দিলেন,"মামা কই যাবেন?"
আমি বললাম, যাবো শাহবাগ,কিন্তু আমি হেঁটেই যেতে পারবো। উনি বল্লেন,"চলেন আপনেরে নামায় দিয়ে আসি"
আমি অসহায়ের মত বললাম - মামা আমার তাড়াতাড়ি যাওয়া লাগবে ঠিকই,কিন্তু পকেটে দুই টাকা ছাড়া কিছুই নেই।
আমাকে বিস্মিত করে দিয়ে বল্লেন,"এইটা কি বলেন, আমি এইমাত্র ওই রাস্তা দিয়ে আসছি,আপনি কি কাজে যাইতেসেন খুব ভালো মতই জানি, আপনার কাছ থেকে টাকা নিবোনা, শুধু একটা অনুরোধ,ওই জায়গায় গিয়ে আমার কথাটা বইলেন,আমার কাকী আট মাসের গর্ভের বাচ্চা সহ এই কাদের মোল্লার হাতে ধর্ষিত হইছে, আমি কি বিচার চাইতে পারিনা?"
যেতে যেতে বারবার চোখ ভিজে আসছিল... নাহ,দেশে এখনও যুদ্ধ করার মত কিছু মানুষ বেঁচে আছে :'(
Anjan Roy:
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা................
যে আদালত মানুষের আবেগ বোঝে না- বোঝে না নিরন্তণ রক্তপাত, সেই আদালত অমান্য করার নৈতিক অধিকার প্রতিটি নাগরিকের আছে- আছে বলেই শাহবাগে শুরু নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের। মনে রাখতে হবে জনগনই এই মুক্তিযুদ্ধের, এই দেশের পাহাড়াদার। আর এই দেশটা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ- আমাদের বাংলাদেশ। আর আমাদের বলেই আমরাই নির্ধারণ করবো আমাদের আগামীকাল।
Sefat Ullah:
আমরা ৭১এ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। ২০১৩ তে এসে স্বাধীনতা বিপন্ন। নূতন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধারা দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আজ তোমাদের পবিত্র দায়ীত্ব। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তোমাদের পাশে আছি।
যুদ্ধাপরাধী জানোয়ারদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলনকারী সকল যোদ্ধাদের স্যালুট।
রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে সমগ্র বাংগা জাজি আজ ৭১ এর চেতনায় ঐক্যবদ্ধ।
জয় আমাদের হবেই হবে।
আমাদের একটাই দাবী - রাজাকারদের ফাসি চাই, ধর্মীয় মৌলবাদ মুক্ত বিশ্ব চাই।
সাবেক ছাত্রনেতা মাহমুদুর রহমান মান্না
‘‘আমি কোনো আইনজীবী নই। এ বিষয়ে আইনজীবীরা ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু একাত্তরের কসাইয়ের বিচারের রায় যদি এটা হয়, তাহলে অন্যদের বিচারের রায় কি হতে পারে তা নিয়ে জনগণ আজ শঙ্কিত। আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে যে তিনশ’ ৪৪ জনকে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে, তাতে কিভাবে যাবজ্জীবন হতে পারে তাও বিষ্ময়কর।’’
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান
‘আমি বিচার চেয়েছি এবং বিচার পেয়েছি। এটাই আমার কাছে বড় কথা। আমি কারও বিরুদ্ধে বিশেষ শাস্তি দাবি করিনি। সুতরাং, বিজ্ঞ বিচারকেরা আইনি প্রক্রিয়ায় যে শাস্তি নির্ধারণ করেছেন, আমি তা সুবিচার হিসেবেই মেনে নিয়েছি।’
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক
‘কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু অপরাধের ধরন, ভয়াবহতা ও নিষ্ঠুরতার সঙ্গে রায়ের সামঞ্জস্যতা আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন
‘ট্রাইব্যুনালের বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে আমাদের বক্তব্য নেই। কিন্তু এই রায় আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য। এই রায় বঙ্গবন্ধু, ৩০ লাখ শহীদ, ছয় লাখ বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযোদ্ধা, এমনকি বাংলাদেশের জন্মকে অপমান করেছে। আমি বিজ্ঞ বিচারকদের কাছে জানতে চাই, কতজনকে হত্যা করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে?’
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল
এ রায়ের মাধ্যমে কাদের মোল্লার অপরাধ প্রমাণিত হলো। এর মাধ্যমে তাঁদের অনুশোচনা হোক। তাঁরা জেনে নিন, মানুষ তাঁদের মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে ঘৃণাই করে। ‘তবে দেশের সাধারণ মানুষের দাবি ছিল মৃত্যুদণ্ড। তাই এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন
‘অনেক আশা নিয়ে রায় শুনতে এসেছিলাম। রায়ে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারিনি, হতাশ হয়েছি।’
সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ
‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলব, এ রায় আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। ভয়াবহ অপরাধে কাদের মোল্লার জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। তার পরও এ রায়ে কেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো না, এটাই আমাদের প্রশ্ন।’
(আপডেট চলছে..)