হামদর্দ এমডির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলায় বিস্মিত স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা
হামদর্দ ওয়াকফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লী ড. হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলায় বিস্মিত ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লক্ষ্মীপুরের স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এর আগেও মিথ্যা ও বানোয়াট একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে নানা হয়রানি করা হয় তাকে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার চেয়ে শনিবার শহরে লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা একেএম শাহজাহান কামাল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লক্ষ্মীপুর জেলা কমান্ড কাউন্সিলের সাংগঠনিক কমান্ডার সিরাজ উল্যা মনা বাকশাল, মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা, আবদুর রেজ্জাক চৌধুরী ও আবুল খায়ের প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল ড. হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন। তিনি দেশের অন্যতম ওষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হামদর্দ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লী ড. হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়াকে হয়রানির নিন্দা জানান। এই সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারাও তার সাথে একমত পোষণ করে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা হামদর্দ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্রকে দেশের সর্ববৃহৎ ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন। লাখ লাখ মানুষের জীবন জীবিকার হাতিয়ার হামদর্দ ও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হাকীম ইউছুফ হারুন ভূঁইয়াকে কুচক্রী মহলের হাত থেকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এ দিকে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া ৬৯ সালে রায়পুর আলীয়াতে কামিল অধ্যয়ন করেন। ৭০ সালে তিনি ফেনীতে টিসার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অধ্যয়ন করেন। ৭১ সালে তিনি ঢাকার তেজগাঁও থানায় কর্মরত ছিলেন। ৭১ সালের বাতিল হওয়া কামিল পরীক্ষা তিনি ৭২ সালে দিয়ে কামিল পাস করেন। ৭২ সালে পরীক্ষা হলেও কাগজপত্রে তা ৭১ সাল লেখা থাকায় একটি মহল এটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। সরেজমিনে মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্নদলের রাজনীতিক নেতা, পেশাজীবী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।