
জুলাই ২১: আদালতের রায়ের পরও শাটডাউন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা, সহিংসতা অব্যাহত
আগের কয়েকদিনে দেশজুড়ে ভয়াবহ সহিংসতায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ হতাহতের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য কার্যত কোটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন অনেকে। আশা ছিল, এর মাধ্যমেই সহিংসতা ক্রমশ কমে আসবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
কিন্তু চব্বিশের ২১ জুলাই টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কারফিউ চলাকালীন আপিল বিভাগের শুনানির পর কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হলেও তা মানেননি আন্দোলনকারীরা।
এদিনও কারফিউয়ের মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত হওয়ার খবর আসে। এছাড়া আহত অবস্থায় আগে থেকেই চিকিৎসাধীন সাতজন হাসপাতালে মারা যান।
২১ জুলাই সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সামগ্রিকভাবে বাতিল (রদ ও রহিত) করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে এ রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, কোটাপ্রথা হিসেবে মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ; মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।
তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলো সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। এই নির্দেশনার আলোকে সরকারের নির্বাহী বিভাগকে অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- ফিরে দেখা
- জুলাই বিপ্লব