সুন্দরবনের গহিনে বিষে ধরা পড়ে চিংড়ি, আগুনে শুকিয়ে বানানো হয় শুঁটকি

প্রথম আলো চাঁদপাই রেঞ্জ, পূর্ব সুন্দরবন, মংলা, সুন্দরবন প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২৫, ১২:০৩

সকালের আলো তখনো ফুটে ওঠেনি। সুন্দরবনের আদাচাই টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও তাঁর দল হেঁটে যাচ্ছিলেন বনের ভেতর দিয়ে। হঠাৎ কচুখালী সিসা খালের পাশে থমকে দাঁড়ান তাঁরা। ভেজা পাতার ফাঁক দিয়ে ভেসে আসে শুঁটকি মাছের গন্ধ। পাশে গাছের ভাঙা ডাল ও পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত হন, কেউ ছিল এখানে। আরও এগিয়ে গিয়ে গহিন বনে পান ১৮ বস্তা বিষ দিয়ে ধরা চিংড়ির শুঁটকি। মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পায়ের ছাপ দেখেই বুঝেছিলাম, কেউ আছে। কিন্তু আমরা পৌঁছানোর আগেই ওরা পালিয়ে যায়। প্রায়ই এমন হয়।’


ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সকালে। এর তিন দিন আগে চাঁদপাই রেঞ্জের বনরক্ষীরা বড় ডাবুর খাল থেকে দুই ট্রলারভর্তি আরও ১৮ বস্তা শুঁটকি জব্দ করেন।


চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক দীপক চন্দ্র দাস বলেন, কিছু অসাধু জেলে সুন্দরবনের গহিনে কীটনাশক ছিটিয়ে চিংড়ি ধরেন। পরে গাছ কেটে আগুনে শুকিয়ে বানান শুঁটকি।


বিষ দিয়ে মাছ ধরার অপরাধে জেল খেটে আসা এক জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বনের মধ্যে জোয়ারের পানিতে খাল ভরে উঠলে দুই প্রান্তে ছোট ফাঁসযুক্ত ভেশালি দিয়ে ফাঁদ পাতা হয়। এরপর ভাটার টানে পানি নামতে শুরু করলে ওই ফাঁদের মধ্যে কীটনাশক ঢেলে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে চিংড়ি ভেসে ওঠে, সেগুলোই ধরা হয়। এরপর সুন্দরবনের মধ্যে গাছ কেটে তৈরি করা হয় ফাঁকা জায়গা। সেখানে কেটে রাখা সুন্দরী, পশুর, গেওয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ সাজিয়ে বিশেষ কায়দায় বানানো হয় মাচা। এসব মাচার ওপর চাটাই বিছিয়ে তার ওপর চিংড়ি রেখে নিচে কাঠ পুড়িয়ে আগুন দেওয়া হয়। আগুনের তাপে বিষ দিয়ে ধরা চিংড়ি শুকিয়ে তৈরি করা হয় শুঁটকি। পরে তা বস্তায় ভরে নদীপথে শহরে চলে যায়।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও