যারা আইনের রক্ষক তারাই আইনের ভক্ষক

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

দেশে যত ধরনের অনিয়ম হচ্ছে সব অনিয়মের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কমিটির সুপারিশের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিতের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, আপনারাও আমার সঙ্গে এক মত হবেন যে, এমন কোনো অপরাধ নেই যার সাথে কোনো না কোনোভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় না। সব ধরনের অনিয়মের সঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো না কোনোভাবে যোগাযোগ এবং সংশ্লিষ্টতা, যোগসাজশ, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এমন একটা জায়গায় আছি যারা আইনের রক্ষক তারাই আইনের ভক্ষক। তবে পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সৎ কর্মকর্তা নেই, এ কথা আমরা কখনোই বলি না। অনেকেই আছেন। ইতিমধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত হচ্ছেন। পাশাপাশি আমরা দেখতে পাই যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একটি অংশ এমন আচরণ করছে তারা আইনের রক্ষক নয়, যেন আইনের ভক্ষক। এ ধারা যদি অব্যাহত থাকে, যদি কার্যকরভাবে প্রতিহত করা না যায় তাহলে আমরা আশঙ্কা করছি যে, একটা সময় চলে আসবে তখন নামটা পরিবর্তন করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাম পরিবর্তন করে আইন লঙ্ঘনকারী সংস্থা করতে হবে। আমরা সেই অবস্থা দেখতে চাই না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা চাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে লোকটি অনিয়ম করবে আমরা তার বিচার চাই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উপস্থাপন হয়, তার বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা দেখি বিভাগীয় তদন্ত হয়। তাতে সর্বোচ্চ যেটা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ক্লোজড করা হয় অথবা বদলি করা হয় অথবা রিটায়ার্ড করে দেয়া হয়। এতে বরং তাকে পুরস্কৃত করা হয়। এতে তো সমাধান হলো না। সমাধানের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত হতে হবে।  আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী সদস্য আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রের দ্বারা হয়। মানবাধিকারকর্মীরা আজ সুরক্ষিত নয়। মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে। চোখ বুঝলেই দেখতে পাই কারা গুম করছে। কিন্তু বলার ক্ষমতা নাই।  সংবাদ সম্মেলনে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ৯ই আগস্ট জাতিসংঘের কমিটির চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে সরকারের কাছে ৭৭টি সুপারিশ করা হয়েছে। এই চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণে ৩টি বিষয়কে অগ্রাধিকার ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং এক বছর পর সরকারকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরতে বলা হয়েছে। অগ্রাধিকার বিষয় তিনটি হলো- হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ, আটক ব্যক্তিদের অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং যেসব এনজিও নির্যাতনবিরোধী কমিটিকে সহযোগিতা করেছে তাদের সুরক্ষা দেয়া। এই সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক শাহিনা হক, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামছুল হুদা, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের সমন্বয়ক তামান্না হক রিতি প্রমুখ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও