নবদম্পতিদের শোবার ঘর যেমন হওয়া ভালো
নবদম্পতির শোবার ঘরে চাই উষ্ণ, পরিপাটি আর রোমান্টিক পরিবেশ। কারণ, শুধু কথায় চিড়ে ভেজে না, পরিবেশকেও হতে হয় রোমান্স–সহায়ক। হালকা নরম কাপড়ের ক্যানোপি, ধীরে দুলতে থাকা পর্দা, মোমবাতির স্নিগ্ধ আলো আর নরম কার্পেট—সব মিলিয়েই তৈরি হয় ভালোবাসার আবহ। আবার ভালোবাসার পাশাপাশি আরামটাও দরকার। একটু যত্ন নিয়ে সাজিয়ে নিলেই দিন শেষে দুজনের ক্লান্তি মুছে যাবে, মনে আসবে প্রশান্তি।
জায়গার সঠিক ব্যবহার
নবদম্পতিদের সাধারণত বাজেট নিয়ে কিছুটা সীমাবদ্ধতা থাকে। তুলনামূলক ছোট বাড়ি দিয়েই শুরু হয় সংসারযাত্রা। কিন্তু বাজেট কম বলে যে ঘর অগোছালো হবে, সেটা কিন্তু মেনে নেওয়া যায় না। রাতে ঘুমানোর আগে যাঁরা বই পড়েন, তাঁরা বিছানার পেছনে বিল্ট-ইন বুকশেলফ বানাতে পারেন। এতে শুধু জায়গা বেঁচে যাবে না, ঘরেও আসবে একধরনের ক্ল্যাসিক ধাঁচ।
ক্যানোপি বিছানার জাদু
দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানোপি বিছানা রাজকীয়তার প্রতীক। তবে এটি এখন চলতি ধারায় আবার ফিরে এসেছে। পাতলা ধাতব বা কাঠের ফ্রেমের আধুনিক ক্যানোপি বিছানা ঘরে আনে রোমান্টিক আবহ। পাশাপাশি একধরনের নীরব আভিজাত্যও প্রকাশ করে। সবচেয়ে বড় সুবিধা, মশারি টাঙানো নিয়ে সমস্যা কমে যাবে। চার পায়ায় চারদিক ঝুলিয়ে দিলেই হলো।
দেয়ালের রং
প্রকৃতিপ্রেমী দম্পতিরা দেয়াল, পর্দা বা বিছানার চাদরে ব্যবহার করতে পারেন সবুজ, বাদামি, কমলা বা মাটির কাছাকাছি রং। চাইলে সূক্ষ্ম পাতা বা ফুলের মোটিফযুক্ত কাপড় বেছে নিতে পারেন। এমন পরিবেশ ঘরে আনে উষ্ণতা, প্রশান্তি আর খানিকটা বিলাসী ভাব। আর দুজনের রুচি যদি এক না হয়, তাহলে সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প হলো নিরপেক্ষ রং। সাদা, বেজ, গাঢ় ধূসর বাদামি রং, ধূসর বা গ্রেইজ—এসব শেড ঘরকে করে তোলে শান্ত, পরিচ্ছন্ন ও লিঙ্গনিরপেক্ষ। এ ধরনের রং বেছে নিলে বিছানার চাদর, আর্টওয়ার্ক বা কুশনে থাকতে পারে রঙের হালকা ছোঁয়া।
আলো মানেই আবহ
সব সময় যে টেবিল ল্যাম্প বা ওয়াল লাইট ব্যবহার করতে হবে, বিষয়টি সে রকম নয়। সিলিং থেকে ঝুলন্ত পেনডেন্ট লাইট ঘরে এনে দেয় অন্য রকম সৌন্দর্য। বিছানার দুই পাশে দুটি ঝুলন্ত লাইট থাকলে পড়ার জন্য সুবিধা। পাশাপাশি এটি সাজেরও অংশ হয়ে ওঠে। দুজনের ঘুমানোর সময়, অভ্যাস বা পছন্দ আলাদা হতেই পারে। তাই আলাদা নাইট লাইট রাখুন, যাতে একজনের আলো অন্যজনের ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটায়।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- শোবার ঘর
- নবদম্পতি
- ঘরের সাজসজ্জা