
তিন জোটের রূপরেখা বাস্তবায়ন হয়নি: জুলাই সনদের ভাগ্যে কী আছে?
মত-ভিন্নমত আশঙ্কা-আশাবাদ সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে জুলাই সনদ প্রণয়ন হয়েছে। যদিও নোট অব ডিসেন্টকেও সঙ্গে নিতে হচ্ছে জুলাই সনদকে। এবার চলছে বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা। এখানেও মুখোমুখি রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান। ধর্মভিত্তিক কিছু দল এবং এনসিপির সঙ্গে জাতীয়তাবাদী দলের ফারাকটা একটু বেশিই বলতে হবে এবারও। বিএনপি বরাবরই বলে আসছে নির্বাচিত সংসদই হবে ক্ষমতাধর। সংবিধান সংশোধন,সনদ বাস্তবায়ন এর কাজটি করবে নির্বাচিত সংসদ। এখানে ধর্মভিত্তিক কিছু দল এবং এনসিপির সঙ্গে বিএনপির শতভাগ বিপরীত অবস্থানে।জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীত অবস্থানকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।পরিস্থিতির জটিলতা সম্পর্কেও সংশ্লিষ্টরা সচেতন।অন্তত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যখন বলেন আগামী কয়েকদিন রাজনীতির জন্য ক্রুশিয়েল টাইম তখনই এর গুরুত্ব সম্পর্কে অনুমান করা যায়।
যে মুহূর্তে জুলাই সনদ স্বীকৃতি পাওয়ার পথে, ঠিক ওই সময় সরকারের একজন উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে যিনি খ্যাতি পেয়েছেন-৪ আগস্ট ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন-১/১১ এর পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে। ফেসবুকে তার এই স্ট্যাটাসটি সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রচার পায়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে।একটা আশঙ্কা তৈরি হয়,তাহলে এত ত্যাগ,এত শ্রমদানের কোনো মূল্যই কি থাকছে না? তিনি সরকারের প্রভাবশালী একজন উপদেষ্টা।কথিত আছে এনসিপিকেও নাকি তিনি নেপথ্য থেকে পরিচালনা করেন। যেমনি জুলাই আন্দোলনের চালিকাশক্তিও ছিলেন তিনি।সুতরাং বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে তাঁর এই আশঙ্কা আমাদেরকে যথেষ্টা নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দেয়।