নতুন বাংলাদেশের অভিমুখ

জাগো নিউজ ২৪ শায়রুল কবির খান প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৫, ১২:১০

দিনটি ছিল শুক্রবার; ১৯৮১ সাল ২৯ মে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করলেন, বিএনপি সাংগঠনিক বিরোধ নিরসনের লক্ষ্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম গিয়েছিলেন। জুমার নামাজের পূর্বেই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বৈঠকে বসেন। নামাজের ও খাবারের বিরতি বাদে বৈঠক অব্যাহত থাকে। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত ছিলো রাতেই ঢাকায় ফিরে আসবেন। কিন্তু কে জানতো ঐ রাতে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে এক অমানিশা আঘাত নিয়ে আসবে।


আবহাওয়া খারাপ হয়ে গেলো, সিদ্ধান্ত হলো প্রেসিডেন্ট রাত্রি যাপন করবেন। স্ত্রী ও সন্তানের সাথে কথা বলে সফরসঙ্গী ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আবারও বৈঠকে বসলেন। ভোর রাতে অর্থাৎ ৩০ মে ১৯৮১ সাল সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রহণযোগ্য বিচক্ষণ, সততা ও বাস্তববাদী রাষ্ট্রপতিকে একদল উশৃংখল সামরিক অফিসার হত্যা করলেন। তিনি শহীদ হলেন; বাংলাদেশ থমকে দাঁড়ালো, কাঁদলো জনগণ শিশু যুবক বৃদ্ধসহ আপামর। তার মৃত্যুশোকে যেন ভারাক্রান্ত ছিলো প্রাণপ্রকৃতিও।


ওই রাতের দীর্ঘ বৈঠকে আলোচনায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তিনটি কথা সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে জোরালোভাবে বলেছেন। সততা, শৃঙ্খলা ও প্রতিশ্রুতি ছাড়া এই দেশ এই জাতি ও এই দল দাঁড়াবে না। আপনার যদি সব দিতে না পারেন অন্তত আপনারা শুধু আমাকে শৃঙ্খলা দেন, বাকি সব আমরা করবো। এই তিনটি শব্দ তিনি একাধিকবার উচ্চারণ করেছেন।


পরিহাস্য, আজও আমাদের পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় অভাব শৃঙ্খলা ও নীতিবোধ। যার মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ নেই তার মধ্যে নীতিবোধও প্রতিষ্ঠিত হবার সম্ভাবনা নেই।


দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কারো কোনও কথা নেই, কারও মধ্যে কোনো পরামর্শ নেই, যৌক্তিক মতামত নেই, যখন তখন কোনও না কোনও ইস্যুতে একধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হচ্ছে, যখন প্রয়োজন শৃঙ্খলা বোধ, তখন তার অভাব সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।


বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যসহ প্রায় সকল মন্ত্রী এমপি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ। সরকারের নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগসহ তাদের নেতৃবৃন্দের বিচার না হওয়ার পর্যন্ত সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। আওয়ামী লীগের অপরিণামদর্শী বাড়াবাড়ির ফলে কতটা নির্মম পরিণতির শিকার হতে হলো। আজ ও আগামী দিনের রাজনীতিকদের জন্য সবসময় গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্তমূলক বার্তা।


রাজনীতিকদের মধ্যে আবেগ ও বাস্তবতার একটা যৌক্তিক সমন্বয় দরকার। আবেগ দিয়ে সৃষ্টি করা যায় কিন্তু রক্ষা করা যায় না। রক্ষা করতে হলে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। আবেগের সাথে বাস্তবতার তফাৎ ও দুরত্ব অনেক। বাস্তবতার ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিতে পারলে যে ক্ষতি হয় তা পূরণ করা যায় না, এমনকি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কঠিন হয়।


বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবার চেয়ে ব্যতিক্রম, তাই তার সঙ্গে অন্য কাউকে তুলনা করা যায় না। তিনি সবসময় সবগুলো বাস্তবতার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। আর তাই তো আজও বিএনপি এত শক্তিশালী। আওয়ামী দুঃশাসনের সময় শত নিপীড়ন নির্যাতনেও সামান্য পরিমাণ ক্ষতি হয়নি। ১৬-১৭ বছরে দমন-পীড়নেও ১৬-১৭-টি ধানের মধ্যে পোকা ধরেনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও