প্রেম, বিপ্লব ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল আজও প্রাসঙ্গিক

জাগো নিউজ ২৪ জান্নাতুল বাকেয়া কেকা প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৫, ০৯:৩৭

শতাব্দীকাল পরেও সমাজ ও রাষ্ট্র বাস্তবতায় প্রেম, বিপ্লব ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম আজও প্রাসঙ্গিক। ১৯ শতকের শেষ দিকে জন্ম নিয়ে এক মননের অনন্য এক আত্মিক জাগরণের কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গভীরভাবে পড়তে পেরেছিলেন, সেই বিশ্ব শতকের মানুষের মন। লাল ফৌজ ব্রিটিশ বেনিয়া আর অখণ্ড ভারতের ভূরাজনীতিতে বাঙালির বোধের স্পর্শকাতরতা এবং দুশ বছরের গ্লানি টানা বাঙালি তথা পুরো বিভক্ত ভারত বর্ষের জনমানসের মুক্তির আর্তির আবেদন। তাই কবি তার লেখনিতে সৃষ্টির আনন্দ আর মানুষের বোধে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে তোলার কাজে একাকীই পালন করেছিলেন ঝঞ্ঝাবায় চেতনা। আজকের মতো সেই তখনো সাম্রাজ্যবাদের নয়া ঔপনিবেশবাদের তাণ্ডবে দুই দুটি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া বৈশ্বিক রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতাকে আমলে নিয়ে রচনা করেছিলেন তার সৃষ্টির সব অনন্য সম্ভার, যা মূলত দেশি বিদেশি শাসক কূল ও ক্ষমতাশালীদের বিরাগ ভাজন করেছেন বটে তবে সময়ের প্রয়োজনে মানবের মুক্তির পথে আলোক দিশা হয়ে পথ দেখিয়েছেন।


আজ শতাব্দীকাল পরে এসে সাম্রাজ্যবাদের নয়া নাটকের সংলাপ ও মঞ্চায়নের মাঠে নতুন কৌশল


ডিপ স্টেট আর অস্ত্র মাদকের মাফিয়াদের আস্ফালনের নয়া ছোবল। তখন বিংশ শতকের বিবর ময়দানে সাম্রাজ্যবাদের নয়া পাঠের সেই পুরোনো পাঠের আলোকে বিপ্লব ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্ম আমাদের পথ দেখাবে। আর এখানেই একজন কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের যুগান্তকারী উপজীব্যতা আজকের বাস্তবতা উপলব্ধির নয়া পাঠ। অতীতের রেখে যাওয়া সৃজনী কর্মের আলোকে আজকের সমাজ বাস্তবতায় সাহিত্যিক সমাজের প্রতিনিধি ও তাদের কর্মতৎপরতা বোঝা যায়। অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদের নয়া কৌশলের আজকের করুণ বাস্তবতা ফেস করার দিশাও পাওয়া যাবে নজরুলের সৃষ্টিশীল লেখনি ও সাহিত্য বিচারে। এই আলোকেই প্রিয় প্রেম ভালোবাসা ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীতে এই লেখনি।


বিনম্র শ্রদ্ধা-


বিদ্রোহ, বিরহ আর প্রেম
ভালোবাসার কবি কাজী নজরুল ইসলাম আপনাকে জানাই অপার ভালোবাসা! আপনার মতো বিপ্লবী ও বিদ্রোহের প্রতিবাদী সত্তার এই বিরল প্রতিভা আর আসেনি এই বাংলায়। পুরো বাংলা সাহিত্যের কালজয়ীর কবিতা, গানে, ভক্তিমূলক ভজন গানে-গীতিতে সর্বোপরি বিংশ শতকের বিপ্লবের বিদ্রোহের ঝঞ্ঝায় আপনি ছিলেন মুক্তচিন্তা আর বুদ্ধি ও মানব মুক্তির অনবদ্য এক প্রতীক।


যিনি মানবের কল্যাণে দেশকালের প্রয়োজনে জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন। আপনার লিখনিতে বিংশ শতকের ঔপনিবেশিক ছোবলে দুশ বছরের শাসনে-শোষণের প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন আমরা দেখেছি। লাল ফৌজ ব্রিটিশ শাসনে শোষণের বিপর্যস্ত পুরো ভারত বর্ষ তথা বাঙালির গোলামির জিঞ্জির থেকে মুক্তির আলোয় আপনি ছিলেন সময়ের পথ দেখানো এক অগ্রণী নায়ক। সাম্রাজ্যবাদের নখরে খুবলে খাওয়া পুরো অবিভক্ত ভারতবর্ষের শাসন ভার ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্তির স্লোগান তোলা দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন আপনি।


আর ১৯ বিশ এর দশকের সূচনায় প্রথম ও পরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থাকায় পুরো বিশ্ব আবারো কীভাবে উত্তাল হয়ে ওঠে সময়ের সংগ্রামী স্মারক রেখে গেছেন নজরুল ইসলাম তার লেখনিতে। তার কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ মানব মুক্তির পথে তৎকালীন বাঙালি জাতিসত্তা তথা লাল ফৌজ ব্রিটিশ বেনিয়াদের মসনদে ঝড় তোলে। বাঙালির জাতিসত্তায় আত্মনির্ভরশীলতা, স্বাধীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা, নয়া জোয়ারে বৃহৎ জনমানুষদের জেগে ওঠার প্রেরণায় উদ্বেলিত করে। দুশ বছরের গোলামির আগল ভেঙে মানব মুক্তির পথে একজন কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক বিরল প্রতিভা।


যিনি কবিতা, গানে, ভজনে, শ্যামা সঙ্গীতে, প্রার্থনা অর্চনায় জনমানুষের একান্ত আপন হয়ে ওঠে তা বিরল। তার লেখনির সাথে বিপুলসংখ্যক জনমানস শুধু সরবে নয় নীরবে নিভৃতে এতটা মূর্ত হয়ে মিশে ছিলেন যে এর আগে তেমনি ঘটেনি বলেই মনে করা হয়। নজরুল এবং তার সাহিত্য কর্ম পুরো বাংলা ও বাঙালি জাতিসত্তার পরিচয়ের স্বরূপ হয়ে ওঠে। নজরুলের লেখনির ক্ষুরধারতা ওই সময়ে চাকায় পুরো মানব মননের আত্মার খোরাক হয়ে জনমানসের বোধে মুক্তির আনন্দে, জাগ্রত হতে উদ্বেলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং বাস্তবতার বোধের সাথে একাত্ম হওয়ার অপার সুখ দিয়েছে, যা বিপুলসংখ্যক জনমানসের জন্য এ যেন এক আলাদা অভিপ্রায়ে ভেসে যাওয়ার অপার সুযোগও বটে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও