সংশোধনের উদ্দেশ্যে মহানবির (সা.) ক্ষমার দৃষ্টান্ত

জাগো নিউজ ২৪ মাহমুদ আহমদ প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৫, ১০:০৫

একটি শান্তিময় ও সম্প্রীতির সমাজ গড়তে হলে অন্যায় ও অপরাধকে দমন করার বিকল্প নেই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই একজন মুমিনের কর্তব্য। বিখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, ‘সমাজে অন্যায় তখনই বিস্তার লাভ করে যখন সৎ লোকেরা নীরব থাকে।’ ঠিক তাই, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে অন্যায়কারীরা আরো বেশি অপরাধ করে।


পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণে তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দেবে এবং অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করবে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)।


পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো ইরশাদ করেন, ‘আর অন্যায়ের প্রতিশোধ অন্যায় অনুপাতে হয়ে থাকে। কিন্তু (অন্যায়কারীকে) শোধরানোর উদ্দেশ্যে যে ক্ষমা করে তার প্রতিদান আল্লাহর কাছে রয়েছে। নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না’ (সুরা আশ শূরা, আয়াত: ৪০)। ইসলামে শাস্তির বিধান অবশ্যই রয়েছে কিন্তু পাশাপাশি ক্ষমা এবং মার্জনার নির্দেশও রয়েছে।


হজরত হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুুল করিম (সা.) বলেছেন, সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎকাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহতায়ালা শিগগিরই তোমাদের ওপর তার শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তার নিকট দোয়া করলেও তিনি তোমাদের সেই দোয়া গ্রহণ করবেন না। (তিরমিজি)


ইসলামে পূর্ববর্তী ধর্মগুলোর মত বাড়াবাড়ি নেই। এর সুমহান দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাই মহানবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায়। তিনি (সা.) যখন দেখেন, অপরাধীর সংশোধন হয়ে গেছে তখন চরম শত্রুকেও তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন।


বিশ্বনবি ও শ্রেষ্ঠনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর, তার (সা.) সন্তান-সন্ততির ওপর এবং তার (সা.) সাহাবিদের ওপর হেন কোন অন্যায় বা অত্যাচার নেই যা করা হয় নি কিন্তু শত্রু যখন ক্ষমার প্রত্যাশী হয়ে ক্ষমা কামনা করেছে তখন বিশ্বনবি, মানবতার নবি ও সম্প্রীতির নবি হজরত মোহাম্মদ (সা.) সবকিছু ভুলে গিয়ে তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও