বাংলাদেশে প্রতি কোরবানির ঈদে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ পশু কোরবানি হয়ে থাকে। চলতি বছর এ চাহিদা বেড়ে প্রায় ১ দশমিক ৫০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে খামারিদের আগ্রহও বাড়ছে।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের মাধ্যমে মাত্র ৯০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যেই একটি শীর্ণ গরুকে হৃষ্টপুষ্ট করে বাজারে বিক্রির উপযোগী করে তোলা যায়। এ জন্য দরকার সঠিক গরু নির্বাচন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, সুষম খাদ্য ও সময়োপযোগী বাজারজাতকরণ। গরু হৃষ্টপুষ্টকরণের জন্য ২ থেকে ২ দশমিক ৫ বছর বয়সী শীর্ণ গরু নির্বাচন করা শ্রেয়।
গরুর বয়স যাচাই করতে দাঁত দেখা হয়—যদি মুখের নিচের পাটিতে অন্তত দুটি কোদালের মতো স্থায়ী দাঁত থাকে, তবে সেটি কোরবানির উপযোগী। গরুর গঠনও গুরুত্বপূর্ণ, যেমন প্রশস্ত কপাল, আয়তাকার দেহ, খাটো লেজ, মোটা হাড়, ঢিলেঢালা চামড়া ইত্যাদি লক্ষণবিশিষ্ট গরু বেশি মাংস উৎপাদনে উপযোগী। গরুর বাসস্থানের জন্য উঁচু, খোলামেলা ও হাওয়াবহুল জায়গা বেছে নিতে হবে। বাঁশ ও খড় দিয়ে সাময়িক শেড তৈরি করা যায়। পাশাপাশি প্রতিটি গরুর জন্য আলাদা খাবার ও পানিপাত্র থাকতে হবে।