প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর খেপিয়ে তুলেছে ভারতকে

যুগান্তর মোবায়েদুর রহমান প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০

ভারতের আঁতে ঘা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাই এখন রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে যা মনে হচ্ছে, তাই করছে ভারত। শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেককে রণসাজে সজ্জিত করছে ভারত। এ কলামটি লেখার সময় অনলাইন পত্রিকায় দেখলাম, তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বাংলাদেশকে প্রদত্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করেছে ভারত। এ সুবিধা ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো দেশে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য বাণিজ্য প্রবাহকে বাধাহীন করেছিল। ভারত ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে এ সুবিধাটি প্রদান করেছিল। ১০ এপ্রিল সকালে একশ্রেণির গণমাধ্যমে দেখলাম, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের এ সিদ্ধান্তটি নাকি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বোঝা গেল, বাংলাদেশ পালটা ব্যবস্থা নিতে পারে এবং তাতে ক্ষতি ভারতেরই বেশি হবে। সেই আশঙ্কায় আপাতত বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা হবে না, সেটি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে সব ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।


এ ঘোষণাটি এমন একসময়ে এসেছে, যখন ভারত, বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে ব্যাপক শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পূর্ববর্তী সার্কুলারে ভারতীয় বন্দর এবং বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন (LCS) ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্য পরিবহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের পর সম্পর্কে যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, তার সর্বশেষ পর্যায় হলো ভারত কর্তৃক বাংলাদেশকে এ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করা। এরপর বাংলাদেশের পক্ষে করণীয় একটিই। সেটি হলো ভারতকে প্রদত্ত বহুমুখী করিডর সুবিধা বাংলাদেশ কর্তৃক বাতিল করা। এ প্রসঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্ট বলতে কী বোঝায়, সেটি পাঠকের জানা দরকার। একটি দেশের পণ্যবাহী যানবাহনগুলো প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্তবর্তী বন্দরে গিয়ে মালামালগুলো ওই দেশের নিজস্ব যানবাহনে তুলে দেওয়া। ট্রান্সশিপমেন্ট স্থলবন্দর দিয়েও করা যায় এবং এতে অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কিন্তু ভারত কেন হঠাৎ বাংলাদেশের সঙ্গে এমন বেপরোয়া আচরণ করছে? এটি বুঝতে হলে আমাদের ড. ইউনূসের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটের চিন্তাধারা জানতে হবে। এ চিন্তাধারা তিনি বর্ণনা করেছেন তার অতি সাম্প্রতিক চীন সফরে।


এ চিন্তাধারা হলো, একটি প্রস্তাবিত উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট। এ জোটের সদস্য হবে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, ভারতের সেভেন সিস্টার্স এবং উদীয়মান আরাকান স্টেট। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে ড. ইউনূস তার এ অর্থনৈতিক ভিশন পরিষ্কার করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের দুই পাশে রয়েছে দুটি বৃহৎ শক্তি। একটি ভারত, আরেকটি চীন। ড. ইউনূসের মতে, এ দুটি বড় দেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধন করলে বাংলাদেশও স্বয়ংক্রিয়ভাবে অগ্রগতির মহাসড়কে উঠবে। তার এ ধারণার পক্ষে তিনি নিুোক্ত তথ্যগুলো তুলে ধরেছেন।


তার মতে, নেপালের রয়েছে অফুরন্ত এনার্জি বা জ্বালানি সম্পদ। আমরা নেপাল থেকে বিপুল পরিমাণে এনার্জি আমদানি করতে চাই। নেপালও সেটি রপ্তানি করতে চায়। কিন্তু উভয়ের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও স্থলবেষ্টিত হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। অনুরূপভাবে ভুটানও আমাদের কাছে এনার্জিসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি করতে পারে। আমরাও তাদের কাছ থেকে সেগুলো নিতে আগ্রহী। কিন্তু নেপাল ও ভুটান উভয় দেশই ল্যান্ডলকড, অর্থাৎ স্থলবেষ্টিত। বৈদেশিক বাণিজ্য করার জন্য যে সমুদ্রপথ প্রয়োজন, সেটি তাদের নেই। অন্য কথায়, তাদের লাগোয়া কোনো সমুদ্র নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করা তথা পণ্য পরিবহণের জন্য তাদের কাছে প্রয়োজন ভারতের শিলিগুড়ি করিডর ব্যবহার করা। এ শিলিগুড়ি করিডরেরই অপর নাম চিকেনস নেক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও