এবার ট্রাম্পের লক্ষ্যবস্তু কি ইরান

কালের কণ্ঠ ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৩

এবারের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন, যা তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পরও অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যখন দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে এমন অবস্থায় তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের উদ্দেশেও হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করতে দ্বিধা করেননি। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পুতিন যদি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর না করেন তাহলে রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বাইরেও যেসব দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলবে তাদের ওপর তিনি অতিরিক্ত করের বোঝা আরোপ করবেন। এই ধারাবাহিকতায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইরান।

তিনি তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকেই পরোক্ষভাবে ইরানের ওপর নানাভাবে কঠোর বার্তা দিয়েছিলেন। বিশেষ করে হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর না হলে এর জন্য দায়ীদের ‘নরকের স্বাদ’ ভোগ করতে হবে—এ ধরনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কার্যত তিনি হামাসের সঙ্গে ইরানকেও সতর্ক করেন।


এখানে একটি বিষয় বোঝার অবকাশ রয়েছে, আর তা হলো হামাস যতই চুক্তির প্রতি মান্যতা প্রদর্শন করুক না কেন, এই অঞ্চলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল এবং অভিন্ন শত্রু একটাই, আর সেটা ইরান। হামাস-ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি যদি টেকসই হিসেবে বিরাজ করে, তার পরও ইরানের নিশানা থেকে ইসরায়েলের সুরক্ষিত থাকার কোনো নিশ্চয়তা নেই।


সম্প্রতি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি এমন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির একদম দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা হামাসকে ইসরায়েলের প্রতি হামলায় নিবৃত করতে পারলেও ভবিষ্যতে ইরানের সরাসরি লক্ষ্যবস্তু থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করা বেশ দুরূহ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর তাই কোনো ধরনের রাখঢাক না করে এবার তিনি ইরানের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন, আর তা হচ্ছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি চুক্তি করতে হবে, নইলে ইরানের ওপর বোমা হামলা পরিচালনা করা হবে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার মতো একই কায়দায় এটাও জানিয়ে রেখেছেন যে ইরানের সঙ্গে যেসব দেশ বাণিজ্য করবে, তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে এ নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাবকে ইরানের দিক থেকে সরাসরি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।


ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য হামলার পাল্টা এবং কড়া জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ফলে স্বভাবতই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক তুমূল উত্তেজনা বিরাজ করছে এই মুহূর্তে।


ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে ট্রাম্পের হুমকির জবাবের পর দেশটির প্রেসিডেন্টের তরফ থেকেও একই বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা না করলেও বরাবরই পরোক্ষ আলোচনার পক্ষে রয়েছে, অর্থাৎ তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতায় তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে অনাগ্রহী নয়। এর কিছুদিন আগে ট্রাম্প তাঁর কথিত ‘নিষেধাজ্ঞা’ বিষয়টি ভেনিজুয়েলার ওপর আরোপ করেছেন। দেশটির তেল ক্রেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও