You have reached your daily news limit

Please log in to continue


এই আগস্ট সেই আগস্ট

বছর ঘুরে আবারও এলো আগস্ট। ফিরে তাকালেই এখন স্বপ্ন মনে হয়। সেই শহীদ মিনার, সেই লাখো মানুষের ঢল। সবাই মিলে এক কাতারে আসা। অভূতপূর্ব ক্ষণ!

এক দিকে মানুষের ওপর নেমে আসা অবর্ণনীয় অত্যাচার, আরেকদিকে সেই একই মানুষ, কিন্তু সব নিপীড়নের বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানো অপ্রতিরোধ্য মূর্তিতে। এই দ্বিতীয় মানুষ হয়ে ওঠা নিজেকেই নতুন করে চেনা যেন!

জুলাই বাংলাদেশেকে পুনর্জন্ম দিয়েছে। পুনর্জন্ম দিয়েছে এদেশের মানুষদেরও।

“এত দিনে তার লাগিয়াছে ভালো -

আকাশ বাতাস বাহিরেতে আলো,

এবার বন্দী বুঝেছে, মধুর প্রাণের চাইতে ত্রাণ!”

নজরুলের ‘ফরিয়াদ’ কবিতা যেন মূর্ত হয়ে ধরা দিয়েছে ২৪-এর জুলাইয়ে রাস্তায় নেমে আসা প্রতিটি মানুষের মধ্যে। পুরো দেশটাই যে কারাগার হয়ে উঠেছিল! সেখানে ত্রাণকর্তা হয়ে উঠেছিল এ দেশের নারী-পুরুষ-শিশু।

আপন শক্তিকে আমরা চিনতে পেরেছিলাম বলেই মুক্তি এসেছে। আর যে মানুষ একবার নিজের শক্তিকে চিনতে পারে, তাকে আবারও নিষ্পেষণের নিগড়ে বাঁধে, এমন শক্তি আছে কার?

“কে আছে এমন ডাকু যে হরিবে আমার গোলার ধান?

আমার ক্ষুধার অন্নে পেয়েছি আমার প্রাণের ঘ্রাণ-

এতদিনে ভগবান!”

২০২৫ সালের ৩ আগস্ট দুটি সমাবেশ হলো ঢাকায়। শাহবাগে ছাত্রদল, আর শহীদ মিনারে এনসিপি। এর ঠিক এক বছর আগে সমাবেশ ছিল কেবল একটি। সেখানে এই রাজনৈতিক কর্মীরা বাদেও, আমার-আপনার মতো লাখো সাধারণ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন নিজের শক্তি পরখ করে নিতে। প্রমাণও এসেছিল হাতেনাতে। ঠিক দু’দিন বাদে, চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে।

আজ জুলাইয়ের শক্তিগুলো বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে আলাদা হয়ে তাদের দর্শন, তাদের রাজনীতি নিয়ে এগোচ্ছেন। করছেন সমাবেশ, পদযাত্রা। কখনো তাদের মতের মিল হচ্ছে, কখনো হচ্ছে বিরোধ। সামনাসামনি আলাপে সে বিরোধে উত্তাপ খুব বেশি না ছড়ালেও, ফোনের পর্দায় ছায়া-যুদ্ধে তা প্রায়শই শালীনতার মাত্রা ছাড়াচ্ছে। সে দুনিয়ায় এখন একটা বড় আলাপ, জুলাইয়ে কার অবদান কত বড়!

বাস্তব কিংবা সাইবার দুনিয়া, দু’জায়গাতেই এক দল মানুষ দিব্বি চলে যাচ্ছেন বিস্মৃতির অন্তরালে। এই মানুষেরা ঢাকার বছিলার বস্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন মৃত্যুর তোয়াক্কা না করে, এই মানুষেরা যাত্রাবাড়িতে লড়াই করেছেন নিরন্তর। এরাই পথে নেমেছেন খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী কিংবা সিলেট, চট্টগ্রামে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার আলাপে তাদের কথা শোনার চেষ্টা কই?

নির্বাচনের ক্ষণ তারিখ ঘোষণা হবে হবে অবস্থা এখন। কবির সুমনের ভাষায়—

‘ভোট মানুষের মুখে ব্যালট পেপার, দেখছেন, নেতা দেখছেন!’ অবস্থা। কিন্তু শুধু ব্যালটে সিল মেরেই কি এই বিপুল শক্তিধর জনতা আসলে কি চান তা জানা সম্ভব? শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর মাস-জোড়া সলাপরামর্শেই কি আসলে বেরিয়ে আসে ‘জনগণের চাওয়া’?

জুলাইয়ে মানুষ কেবল পেটের দায়ে নেমে আসেনি। জুলাইয়ের ডাকে আমরা পথে নেমেছিলাম মানুষ হিসেবে, এদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের মর্যাদা পুনরুদ্ধারে। এদেশের মায়েরা পিচঢালা রাজপথে, কখনো প্রখর রোদ, কখনো অবিশ্রাম বৃষ্টি উপেক্ষা করে পথে নেমেছিলেন তাদের সন্তানদের রক্ষা করতে। নারীরা পথে নেমেছিলেন মর্যাদা আদায় করে নিতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন